‘সুপার সোলজার’ বানাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধক্ষেত্রে শক্তিশালী, প্রখর দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি সম্পন্ন নির্ঘুম সেনা থাকলে তা যুদ্ধজয়ে ভূমিকা রাখবে। সম্প্রতি মার্কিন সেনাবাহিনী এক প্রকল্পের আওতায় এ ধরনের ‘সুপার সোলজার’ বানানোর প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এটি যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতেও সহায়ক হবে। সংবাদ : ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং।
আমরা বর্তমানে যতদূর দেখতে পাই, যতখানি শুনতে পাই, কিংবা যতখানি কাজ করতে পারি তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ করতে পারবে এমন সেনা তৈরি করার প্রকল্প অনুমোদন করেছে মার্কিন ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি (ডারপা)। এ সেনাদের সত্যিকার সাইবর্গ সেনা বলা যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অতি গোপনীয় এ প্রকল্পের প্রাথমিক উদ্দেশ্য সামরিক প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটানো যেন তা বিভিন্ন বেসামরিক কাজে লাগে। এছাড়া মানুষের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তির সীমাবদ্ধতা কাটানোও এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। তবে এসব প্রাথমিক লক্ষ্যের বাইরে মূল যে লক্ষ্য কাজ করছে তা হলো, যুদ্ধক্ষেত্রে মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য অতিমানবীয় ক্ষমতাসম্পন্ন সেনা তৈরি করা। প্রয়োজনে মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন করে হলেও এ ধরনের সেনা তৈরি করা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডারপা জানিয়েছে, প্রকল্পটির নাম নিউট্র্রাল ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেম ডিজাইন (এনইএসডি)। এ প্রকল্পে মানুষ কিংবা প্রাণীর দেহের সঙ্গে মানানসই যন্ত্র তৈরি করা হবে, যা ইলেক্ট্রকেমিক্যাল ভাষা ব্যবহার করে মস্তিষ্ক ও অন্য যন্ত্রগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যাবে।
জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় নিউরোসায়েন্স, সিনথেটিক বায়োলজি, কম শক্তিসম্পন্ন তড়িৎকৌশল, ফটোনিক্স, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি প্যাকেজিং ও নির্মাণ, সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিং ও ক্লিনিক্যাল টেস্টিং অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এতে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দেওয়া হবে, যারা সংবেদনশীল নানা গবেষণা করে ‘সাইবর্গ’ সেনা তৈরির বিষয়ে গবেষণা করবেন।
গবেষণায় সাইবর্গ সেনা তৈরি সম্ভব হলে তা মার্কিন বাহিনীকে যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন সুবিধা দেবে তেমন সাধারণ সেনাদের জীবন বাঁচাতেও সাহায্য করবে। দীর্ঘদিন কোনো খাবার ও রসদ ছাড়াই নির্ভুলভাবে যুদ্ধ করতে পারবে এ ধরনের সেনা।