স্মার্টনেস বাড়াতে অভ্যাসের পরিবর্তন করুন

স্মার্টনেস বাড়াতে অভ্যাসের পরিবর্তন করুন

  • আবু রিফাত জাহান

আজকের যুগে ক্রমপরিবর্তনশীল ও আধুনিক প্রতিযোগিতার বিশ্বে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে আপনার যথাযথ স্মার্টনেসের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া উপায় নেই। আপনি যদি পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে স্মার্ট না হোন, তবে সফলতার গল্প আপনার ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থাকবে; সেটা এখন অজানা নয় কারো। কিন্তু প্রতিদিনের এই একঘেয়েমি জীবনে আপনার চিন্তা-ভাবনা আর কাজকর্মে স্মার্টনেস বাড়বে কিভাবে, চিন্তা করেছেন কি?

বিজ্ঞান বলে, মানুষের মস্তিষ্ক দুইটি প্রধান অংশে বিভক্ত। একটি বাম মস্তিষ্ক, আরেকটি ডান মস্তিষ্ক। এই দুই মস্তিষ্কের মাঝে খুবই পাতলা সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ার নামক পাতলা পর্দা বিদ্যমান, যা মস্তিষ্কের দুইটি অংশকে আলাদা করলেও কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের সৃষ্টি করে দেয়। মস্তিষ্কের এই বাম অংশ আপনাকে লজিকাল ও সৃজনশীল করে তোলে, ফলে সাধারণ বিজ্ঞানের চর্চায় আপনি থাকেন এগিয়ে। অপরদিকে, ডান অংশে সৃজনশীলতার পাশাপাশি আবেগে ভরপুর; তাই কবি সাহিত্যিকদের সৃষ্টির মূল কারখানা এই ডান মস্তিষ্ক।

এজন্যই আপনার কাজকর্ম, আচার-আচরণে স্মার্টনেস বাড়াতে প্রয়োজন মস্তিষ্কের এই দুটি অংশেরই সমান অংশগ্রহণ। কিন্তু তা আর হচ্ছে কোথায়! আমাদের দৈনিক কাজ-কর্মে নেই সৃজনশীলতার চর্চা এবং মস্তিষ্কের এই দুইটি অংশের চর্চাও নেই বললেই চলে। তাই, আসুন জেনে নিই এমন কিছু অনুশীলন যা আপনার মস্তিষ্কের উভয় অংশকে রাখবে সক্রিয়, আর আপনি হবেন স্মার্ট।

ট্যাকটাইল সেন্স বাড়ানোর কৌশল

ঘুম থেকে উঠে কোন হাতে ব্রাশ করেন প্রতিদিন? অবাক হচ্ছেন? এটা ভাবাটা জরুরি। আমাদের বাম মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের ডান অঙ্গসমূহকে; আর ডান অংশ নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের বাম অঙ্গসমূহকে। সুতরাং, আপনি ডান হাত ব্যবহারকারী মানে মস্তিষ্কের বাম অংশ আপনার অধিকাংশ কাজের নিয়ন্ত্রক।
অভ্যাসটা আজ থেকেই পরিবর্তন করুন। প্রতিদিন যে হাতে ব্রাশ করেন, আজ থেকে ভিন্ন হাতে করুন। এতে আপনার মস্তিষ্কের অন্য অংশটিও কার্যকর হয়ে উঠবে এবং ট্যাকটাইল সেন্স বৃদ্ধি করবে। আপনিও কাজে কর্মে হবে সাবলীল ও সৃজনশীল।

গোসলের সময় চোখ রাখুন বন্ধ

গোসলের সময় আপনি ঠিকই জানেন যে কোথায় সাবান রাখা আছে, পানির মগ কোথায় আছে কিংবা টাওয়ালটা ঠিক কতদূরে আছে। আপনার মস্তিষ্কই আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই তথ্যগুলো আপনাকে দিবে, যদি আপনি গোসলের সময় আপনার চোখ বন্ধ রাখেন।
আপনার পরিচিত গোসলখানার সব তথ্যই জমা থাকে আপনার মস্তিষ্কে। আপনাকে শুধু মাঝে মাঝে মস্তিষ্কের এই সামান্য ব্যায়ামের মাধ্যমে তাকে কার্যকরী থাকার সুযোগ দিতে হবে।

দৈনিক অভ্যাসের পরিবর্তন করুন

প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে যে রুটিনে জীবন পরিচালনা করেন, তা একটু পরিবর্তন করুন। তাতে আপনার মস্তিষ্কে নতুন কাজের স্বাদ পাবে, আর আপনি পাবেন ভিন্ন সতেজতা। বিজ্ঞান বলে, মাঝে মাঝে এই কর্মপরিচালনায় আপনার মস্তিষ্ক উর্বরতা পায়।

বাজে অভ্যাস পরিত্যাগে বদ্ধপরিকর হোন

জীবনের বাজে অভ্যাসগুলো পরিবর্তন আনতে বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা করুন। এতে আপনার প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার দক্ষতা পায় মস্তিষ্ক। আর আপনিও কাজে কর্মে হয়ে উঠবেন স্মার্ট।

Sharing is caring!

Leave a Comment