কাল শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা
নিউজ ডেস্ক : এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। এবারের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৮ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৩ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ ৮ হাজার ৫৯০ জন ছাত্রী।
শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, প্রথম দিন এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) ১ম পত্র, সহজ বাংলা ১ম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতি ১ম পত্র, কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ, ভোকেশনালে বাংলা-২ (সৃজনশীল) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতদিন সকালে পরীক্ষা শুরু হলেও এবারই প্রথমবারের মতো বিকাল ২টায় পরীক্ষা শুরু হবে।
এবারের পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) অংশের পরীক্ষা আগে হবে। পরে হবে সৃজনশীলের পরীক্ষা। দুই অংশের পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিট সময়ের ব্যবধান থাকবে। এত দিন সৃজনশীল অংশ আগে হতো। এমসিকিউ অংশের প্রশ্ন কিছু অসাধু শিক্ষকের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাইরে পাঠিয়ে উত্তর এনে শিক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পরীক্ষা উপলক্ষে গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমি সব পরীক্ষা ও পরীক্ষারর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছি, আমাদের এমন কোনো নির্দেশনা নেই যে, কাউকে বেশি নম্বর দেবেন, আবার কাউকে কম নম্বরও দেবেন না। এ সময় পাসের হার ও জিপিএ-৫ বাড়াতে বেশি নম্বর দেয়ার নির্দেশনার অভিযোগ নাকচ করে দেন শিক্ষামন্ত্রী।
সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, যার যা প্রাপ্য তাকে তা-ই দেবেন, সঠিকভাবে খাতা দেখবেন, সঠিকভাবে মূল্যায়ন করবেন। এতে সংখ্যা বাড়ল না কমল এ নিয়ে আমাদের কোনো চাপ নেই।
গত বছরের তুলনায় এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র বেশি থাকলেও শুধু এসএসসিতে সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে ছাত্রীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার মোট ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৩ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ ৮ হাজার ৫৯০ জন ছাত্রী। এর মধ্যে শুধু এসএসসিতে ৬ লাখ ৪২ হাজার ৫০৭ জন ছাত্রের বিপরীতে ছাত্রী ৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৭ জন। অর্থাৎ ছাত্রী ১৯ হাজার ২৬০ জন বেশি। বিদেশের ৮টি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষায় বসবেন ৪০৪ জন শিক্ষার্থী, এর মধ্যে ২০১ জন ছাত্র এবং ২০৩ জন ছাত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার প্রথমে বহুনির্বাচনী এবং পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে, দুই পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিট সময়ের ব্যবধান থাকবে।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত হবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ৯ থেকে ১৪ মার্চ।

 
	                
	                	
	             
	                       			                       	 
	                       			                       	 
	                       			                       	 
	                       			                       	