‘মিনিস্টার, আই হ্যাভ এ কোয়েশ্চেন !’
- প্রমিনেন্ট প্রতিবেদক
সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সামনে পেয়ে সরাসরি প্রশ্ন করল এক স্কুল ছাত্রী-‘মিনিস্টার ওবায়দুল কাদের! আই হ্যাভ এ কোয়েশ্চেন!’
কিছুটা অবাক মন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘হোয়াট ইজ ইয়োর কোয়েশ্চেন। আর ইউ জার্নালিস্ট!’ সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটির উত্তর- ‘নো! আই এম এ স্টুডেন্ট।’
এবার মন্ত্রী জানতে চান কী তার প্রশ্ন। তখন মেয়েটি বললো, ‘আমি যখন স্কুলে আসি তখন ‘গুলিস্তান-আব্দুল্লাপুর ১২৩’ বাসগুলো মহিলা সিট নেই বলে উঠতে দেয় না। কন্ডাক্টররা বলেন, ‘আপনাদের উঠতে দেয়া যাবে না। তখন স্কুলে আসতে দেরি হয়ে যায়। আবার একইভাবে বাসায় ফিরতেও দেরি হয়। কখনো কখনো ক্লাসও মিস হয়। তাহলে মহিলাদের জন্য আলাদা বাসের কি প্রয়োজন নেই?-মেয়েটির প্রশ্ন এটাই।
তখন মন্ত্রী বলেন, মহিলাদের জন্য বিআরটিসির আলাদা বাস আছে। তুমি কোথা থেকে কোথায় স্কুলে যাও।
মেয়েটি বললো শেওড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে এমইএস পর্যন্ত। মন্ত্রী মেয়েটির কাছ থেকে তার স্কুলে যাওয়ার সময় জেনে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই নির্দেশ দিলেন, কাল থেকে (১৩ মার্চ) সকাল সোয়া ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে বিআরটিসির বাস এখানে থাকবে। চেয়ারম্যানকে বলে দাও একই সঙ্গে ১২৩ নম্বর বাসগুলো কেন মহিলাদের উঠতে দেয় না এ ব্যাপারে এখনই ব্যবস্থা নিতে।
মন্ত্রীর মুহুর্তের সমাধানে মেয়েটি আনন্দে মন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে চলে যায়।
এই ঘটনা ঘটেছে আজ দুপুর ১২টায়। স্কুল শেষে বাস না পেয়ে মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী শামসুন্নাহার শতাব্দী। পথে পেয়ে গেলো মন্ত্রীকে। মিটারছাড়া সিএনজি অটোরিকশা ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে তখন অভিযান চালাচ্ছেন মন্ত্রী। অভিযান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন।