হতে চাইলে আইনজীবী

হতে চাইলে আইনজীবী

  • রবিউল কমল

দেশে আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। চাহিদার কারণে আইন শিক্ষার বিস্তার ঘটছে ক্রমাগতভাবে। আমাদের দেশে সর্বপ্রথম আইন বিষয়ে কোর্স চালু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১৯২১ সালে। বর্তমানে বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ল কলেজে আইন বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। 

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় :

চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া। এ ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু স্নাতক সম্মান করা যায়। ২০০৮ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্সটি চালু হয়। পরবর্তী সময়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করা হবে এখানে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

দেশে ২৫টির মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগই চার বছর মেয়াদি সম্মান ডিগ্রি প্রদান করে। তবে এলএলএম কোর্স রয়েছে কোনো কোনোটায়। 

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে চলছে আইনের ব্যবহারিক পাঠদান।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে চলছে আইনের ব্যবহারিক পাঠদান।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি  

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আইন শিক্ষায় যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টি আইনের উপর  ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি এবং ১ ও ২ বছর মেয়াদি মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করে থাকে।  

যোগাযোগ : ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি : প্রধান ক্যাম্পাস, ১০২ ও ১০২/১ শুক্রাবাদ, ধানমন্ডি, ঢাকা। ফোন : ০২৯১৩৮২৩৪-৫, ৯১১৬৭৭৪, ৯১৩৬৬৯৪। ওয়েবসাইট : www.daffodilvarsity.edu.bd

কাজের ক্ষেত্র 

বলাই বাহুল্য, আইন পেশায় এখন যোগ হয়েছে নতুন নতুন মাত্রা ও সম্ভাবনা। আইনজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিভিন্ন বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, বহুজাতিক কোম্পানি ও এনজিওতে আছে আইন কর্মকর্তা বা প্যানেল আইনজীবী হিসেবে কাজ করার সুযোগ। রয়েছে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিম্ন আদালতে যোগ দেওয়ার সুযোগ।

অন্যান্য কাজের ক্ষেত্র  

বাংলাদেশে তেমন প্রচলন না থাকলে সাইবার ক্রাইম, ইমিগ্রেশন, স্পোর্টস ও মিডিয়া আইনজীবী হলে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিম-লেও পেতে পারেন কাজের সুযোগ। তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের ফলে সাইবার বিষয়ে নানা ধরনের আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। আর মিডিয়া, মিডিয়াকর্মী বা সেলিব্রিটিদের বিভিন্ন আইনি জটিলতার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের কদর বাংলাদেশেও তৈরি হচ্ছে।

আয়

আইনজীবীদের আয়ের বিষয়টি নির্ভর করে অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিগত দতা, সামাজিক যোগাযোগ, মামলার ধরন ও মক্কেলের ওপর। ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের একজন আইনজীবী। বার-অ্যাট-ল’ ডিগ্রি থাকলে মক্কেলদের কাছে বাড়ে গ্রহণযোগ্যতা। একজন নতুন আইনজীবী সাধারণত ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা সহকারী জজ পদে নিয়োগ পেলে সম্মান, নানা সুযোগ-সুবিধাসহ মিলবে আকর্ষণীয় বেতন। favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment