দুর্যোগ সহনশীল দেশ গড়ার প্রত্যয়ে
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
‘একটি ছোট্ট পদক্ষেপ… দুর্যোগভীতিহীন সুন্দর ভবিষ্যতের লক্ষ্যে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারিবিলিটি স্টাডিজের একঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থী গড়ে তুলেছেন ‘রেজিলিয়েন্স টু ডিজাস্টার’ (আরটিডি) নামক অভিনব এক ভিন্নধর্মী ক্লাব। অ্যাকটিভ সিটিজেন (ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার) বাংলাদেশের সহযোগিতায় গড়ে ওঠা এ ক্লাব মূলত কাজ করছে কী করে ঢাকা শহর তথা পুরো বাংলাদেশকে দুর্যোগ সহনশীল এবং যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় পারদর্শী একটি রাষ্ট্রে পরিণত করা যায় তার ওপর। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে গড়ে ওঠা এ ক্লাবের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫০ জন।
‘প্রাথমিকভাবে আমরা আমাদের ঢাকা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত অবস্থান এবং সেখানকার শিক্ষার্থী, শিক্ষকমণ্ডলী এবং কর্তৃপক্ষের দুর্যোগ বিষয়ক প্রস্তুতি এবং দুর্যোগ-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে তাদের ধারণার ওপর জরিপ চালনা করেছি। বর্তমানে স্কুল-কলেজে আমরা দুর্যোগ বিষয়ক বিভিন্ন সেমিনার এবং ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছি, যা তাদের দুর্যোগ বিষয়ক অবশ্যই করণীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে বেশ উপযোগী।’ কথাগুলো বলছিলেন ক্লাবের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোসাব্বের আলী চিশতী। ক্লাবের সদস্যদের প্রায় প্রত্যেকেই আধুনিক উপায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ক্রিটিক্যাললিঙ্ক ফার্স্টএইড ট্রেনিং, রেড ক্রিসেন্ট ট্রেনিংসহ দেশের বাইরে থেকেও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য কাজ করছেন এ ক্লাবে। ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ছাত্র হওয়ায় দুর্যোগ বিষয়ক প্রয়োজনীয় ধারণাগুলো নিয়েই আমাদের প্রতিদিনের চর্চা। আমরা চাই আমাদের জ্ঞানটুকু সাধারণ জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে দুর্যোগ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ঢাকা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমাদের ক্লাবের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করা’- কথাগুলো বলছিলেন ক্লাবের সক্রিয় সদস্য তাসনিম চৌধুরী ফাহিম। এ ক্লাব কর্তৃক ইতিমধ্যে আয়োজন করা হয়েছে দুর্যোগ সম্পর্কিত সচেতনতামূলক বেশকিছু রচনা, কুইজ এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে ক্লাব কর্তৃক আয়োজন করা হয় বিভিন্ন দুর্যোগ এবং পরিবেশ বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা। ‘সাম্প্রতিক বন্যায় আমাদের ক্লাবের সদস্যরা বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ এবং প্রদানের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যা নতুন হিসেবে আমাদের ক্লাবের জন্য বেশ বড় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল’- ক্লাবের আরেক সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস মিম কথাগুলো বলতে বলতে ক্লাবের কার্যক্রমের কিছু ছবি দেখালেন। আমরা বিশ্বাস করি, দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশ একসময় দুর্যোগ মোকাবেলায় সারা বিশ্বে এক অনুকরণীয় অবস্থান গড়ে তুলতে পারবে।

 
	                
	                	
	            
 
	                       			                       	 
	                       			                       	 
	                       			                       	 
	                       			                       	