টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে রাফসান-রামিম

টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে রাফসান-রামিম

  • ক্যাম্পাস

টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের ৪র্থ সংস্করণ নরওয়ের বৈশ্বিক অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র শিক্ষার্থী রাফসান শাবাব খান এবং রামিম আহমেদকে নির্বাচিত করেছে।

নোবেল পিস সেন্টারের সহযোগিতায় আয়োজিত ইয়ুথ ফোরাম ১৩টি দেশের ১৮ থেকে ২৮ বছরের তরুণ তরুণীদের জীবন বদলানো ধারণা উপস্থাপনের সুযোগ দেয়। এবছরের ফোরামের মূলভাব “শান্তির জন্য ডিজিটালইজেশন”। এর আয়োজক ছিল গ্রামীণফোন।
এবছরের বিজয়ী ধারণাগুলো হচ্ছে তরুণদের অর্থপূর্ণ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে উদ্যোগী ‘ওয়ান ইয়াং ওয়ার্ল্ড’ এবং দুস্থ এবং সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য ক্রাউড ফান্ডিং উদ্যোগ ‘উই আর ওয়ান’।

কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত ৭ জন প্রতিযোগী গ্রামীণফোন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, দেশীয় উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেল এবং সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ডিজিটাল ও সোশাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাদের ধারণা উপস্থাপন করে। এই ৭ জনের মধ্যে থেকে ২ জনকে ডিসেম্বরে অসলোতে অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচন করা হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র জনাব আনিসুল হক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় আরও ছিলেন গ্রামীণফোনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা হোসাইন সাদাত।

অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ‘তরুণদের অনুপ্রাণিত করে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার জন্য গ্রামীণফোন এবং টেলিনরকে ধন্যবাদ।’
অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে গ্রামীণফোনের হেড অফ কমিউনিকেশনস নেহাল আহমেদ বলেন, “অল্প কয়েক বছরের মধ্যে টেলিনর ইউথ ফোরাম তরুনদের জন্য একটি সম্মানজনক বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির পূর্ণ সক্ষমতা প্রকাশে তাদের অনুপ্রাণিত করছে।”
আজকের বিজয়ীরা বিশ্বের অন্যান্য স্থানের বিজয়ীদের সাথে অসলোতে তিনদিনের সম্মেলনে মিলিত হবে যেখানে তারা মোবাইল ও ডিজিটাল প্রযুক্তির রূপান্তরের ক্ষমতাকে বোঝার এবং তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। তারা নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ারও সুযোগ পাবেন।
গ্রামীণফোন এবছরের জুলাই মাসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের সূচনা ঘোষণা করে। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থী এবং আগ্রহী প্রতিযোগীদের ধারণাপত্র জমা দিতে আহবান জানায়।

গ্রামীণফোন এবং টেলিনর গ্রুপের প্রধান লক্ষ্য সামাজিক ক্ষমতায়ন, ইয়ুথ ফোরামের মাধ্যমে টেলিনর সাধারণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ডিজিটাল ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারে তরুণদের উৎসাহিত করতে চায়।favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment