শেষ হচ্ছে ভার্চ্যুয়াল গেমিং প্রতিযোগিতা
- বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক
গুলশানে চলছে ভার্চ্যুয়াল গেমের প্রতিযোগিতা। গেমিং জোন ই-কার্নিভাল বিডি তৃতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় ২০টি দলের ১০৮ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে। আজ প্রতিযোগিতার শেষ দিন।
গেমিং জোনের ব্যবস্থাপনা করছেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য বিবিএ পাস করা আকিব আহমেদ। তিনি বললেন, প্রতিযোগীরা শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কেউ বাংলা মাধ্যমের, কেউবা ইংরেজি মাধ্যমের। এবারের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রতিযোগী সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। সপ্তম, অষ্টম শ্রেণির কোনো কোনো শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবকে নিয়ে এখানে খেলতে এসেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে গুলশান-২-এর রক ভবনের তৃতীয় তলায় শুরু হয়েছে ‘ডট এ টু চ্যাম্পিয়নশিপ সিজন-৩’ শীর্ষক এই গেমিং প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় ইন্টারনেটে ‘ভালভে’ নামের একটি ভার্চ্যুয়াল যুদ্ধের গেম খেলতে হয়। তাতে প্রতিপক্ষ দলকে যুদ্ধের মাধ্যমে ঘায়েল করতে হয়। পাঁচজনের একেকটি দল একজোট হয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে। প্রাচীন আমলের অস্ত্র দিয়ে
দুই দলেরই চেষ্টা থাকে ধুন্ধুমার যুদ্ধ বাধিয়ে প্রতিপক্ষের দুর্গ ধ্বংস করা।
এই গেমের প্রতিযোগিতা শেষে ভালো খেলার জন্য ‘হাইয়ারটিয়ার’ বিভাগে দুজন পাবেন ১০ হাজার ও ৭ হাজার টাকা। আর ‘স্ট্যান্ডার্ড’ বিভাগে দুজন পাবেন ৭ হাজার ও ৫ হাজার টাকা। খেলার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অনুযায়ী এই পুরস্কার দেওয়া হবে।
এবারের প্রতিযোগিতায় কিশোরী-তরুণীরাও অংশগ্রহণ করেন। তিনটি দলে চারজন অংশ নেন। ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিনা হোসেন বললেন, ‘আমি অ্যাকশন গেম, রেসিং গেম খুব উপভোগ করি। ১২ বছর ধরে গেম খেলি।’
প্রযুক্তির এই সময়ে শহুরে ছেলেমেয়েদের মধ্যে ক্রমেই বাড়ছে গেমিং নিয়ে আগ্রহ। নগরে খেলাধুলার জায়গা কম থাকায় বাইরে গিয়ে খেলার সুযোগ কম। তা ছাড়া এই প্রজন্মের অনেকে খেলাধুলাকে কঠোর পরিশ্রমের কাজ বলে মনে করে। তাই শিশু এমনকি কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দিনকে দিন বাড়ছে গেম নিয়ে আগ্রহ। অনেকে আবার গেমিংয়ের মাধ্যমে উপার্জনের স্বপ্নও দেখছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাহিব রেজা সাত বছর আগেও নিয়মিত ক্রিকেট, ফুটবল খেলতেন। তাঁরা যেখানে খেলতেন, সেখানে খেলার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাহিব গেমিং শুরু করেন। এবারের প্রতিযোগিতায় তিনি এক দিনেই দুটি দলকে হারিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আশা করছি চ্যাম্পিয়ন হব। সে জন্য আরও চারটি দলকে হারাতে হবে।’
ই-কার্নিভাল বিডির প্রতিষ্ঠাতা সদ্য এ লেভেল পাস করা মুনতাসীর আলম চৌধুরী বললেন, এবার নিয়ে তাঁরা তৃতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। শহরের গেমপাগল তরুণ-তরুণীদের জন্য এই আয়োজন একটি বিনোদনকেন্দ্র হতে পারে।