যশোরে চাল উৎপাদন কমেছে

যশোরে চাল উৎপাদন কমেছে

  • নিউজ ডেস্ক

চলতি অর্থবছর যশোর বিভাগের ছয় জেলায় চাল উৎপাদন কমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আউশ ধানের ৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৭ টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪০৫ টন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৯২ টন কম উৎপাদন হয়েছে। এ অঞ্চলে চালের উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে অতিবৃষ্টিকে দায়ী করছে কৃষি বিভাগ।

আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছর ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৭ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৯৯ হাজার ৩৭২ হেক্টর জমিতে। গত অর্থবছরে ১ লাখ ১৯ হাজার ১৩৭ হেক্টর আউস ধানের আবাদ হয়েছিল। যদিও সে সময় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৯১ হেক্টর জমি।

যশোর বিভাগের ছয় জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আউশের আবাদ হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলায়। এ জেলার মোট ২৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। আর সবচেয়ে কম আবাদ হয়েছে মেহেরপুর জেলায়। এখানে ৯ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। এছাড়া যশোরে ১৬ হাজার ৯০০ হেক্টর, ঝিনাইদহে ২২ হাজার ২৮৫, মাগুরায় ৩ হাজার ৫৯৭ ও কুষ্টিয়া জেলায় ১৮ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে আউস আবাদ হয়েছে।

যশোর কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক চণ্ডীদাস কুণ্ডু এ সম্পর্কে বলেন, ‘এ বছর যশোর জেলায় অন্যান্য বছরের তুলনার কম পরিমাণ জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারেণে অনেক জেলায় ধানের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো যশোর জেলার তিনটি উপজেলার কৃষিজমি পানির নিচে রয়েছে। এসব উপজেলায় আউস ধানের চাষ হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত পানির কারণে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক উৎপাদনের ওপর।

মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম জানান, এ বছর বিলে ছয় বিঘা জমিতে আউশের আবাদ করেছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সব ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এখনো বিলে পানি থাকার কারণে আর ধান রোপণ করতে পারেননি তিনি। তাই আউশের চিন্তা না করে আমনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

শার্শা উপজেলার শালকোনা গ্রামের সাহেব আলী জানান, এ বছর তিনি সাত বিঘা জমিতে আউশের আবাদ করেছিলেন। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment