ফোর্বস তালিকায় প্রথম নারী কৌতুক শিল্পী
- লিডারশিপ ডেস্ক
কৌতুক করে মানুষকে হাসানো মোটেই সহজ কাজ নয়। তার ওপর শিল্পী যদি হন নারী, তাহলে তো কথাই নেই! শুধু এশিয়া নয়, পাশ্চিমা দুনিয়ায়ও একজন নারী কৌতুক শিল্পীর ক্যারিয়ার গড়া সহজ নয়। এ প্রচলিত বাধা কেটেই এগিয়েছেন এমি। শুধু তাই নয়, প্রথমবারের মতো একজন নারী কৌতুক অভিনেত্রী ফোর্বসের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। এমি শুমার এ বছরের সবচেয়ে বেশি আয়কারী কৌতুক শিল্পীদের মধ্যে চতুর্থ স্থান দখল করেছেন। তিনি পারিশ্রমিক পেয়েছেন ১ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এ অর্থ তিনি উপার্জন করেছেন ট্যুর, ইনসাইড অ্যামি শুমার নামের টেলিভিশন শো, বাণিজ্যিক কাজ এবং তার দ্য গার্ল উইথ দ্য লোয়ার ব্যাক ট্যাটু বইয়ের জন্য ৮০ লাখ ডলারের চুক্তি থেকে।
ফোর্বসের সহযোগী প্রযোজক ম্যাডেলিন বার্গ ইনডিপেনডেন্টকে বলেছেন, ‘প্রথমবারের মতো একজন নারী এ তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে দুনিয়া এখন প্রথাগত ধারণায় আটকে আছে যে, নারীরা ভালো কমেডিয়ান হতে পারে না। তবে সৌভাগ্যবশত শুমার এবং অন্যান্য নারী কৌতুক শিল্পীরা এ ধারণা বদলাচ্ছেন।’
এমি শুমার কৌতুক শিল্পী হিসেবে দুনিয়ার প্রভাবশালী মানুষদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। তিনি ২০১৫ সালে টাইমসের ১০০ প্রভাবশালী মানুষের তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এছাড়া তিনি ২০১৫ সালের বারবারা ওয়ালটারস টেন মোস্ট ফ্যাসিনেটিং পিপলের তালিকায়ও স্থান পেয়েছেন। শুমার তার কৌতুকে সবসময়ই নারীবাদী চিন্তার প্রকাশ ঘটান। বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুও তিনি তার কৌতুকে তুলে আনেন। ২০১৫ সালে তার ইনসাইড এমি শুমার শোর বিভিন্ন পর্বে তিনি যৌনতা, নারীবাদ এবং ধর্ষণ বিষয়ে মতামত তুলে ধরেছেন।
এমির জন্ম হয়েছিল সচ্ছল পরিবারেই কিন্তু ব্যবসায় লোকসানের কারণে তার বাবা দেউলিয়া হয়ে যান। নিজের পারিবারিক জীবনেও তাকে কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এমির বয়স তখন মাত্র নয় বছর। এর পর কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি নিজের লেখাপড়া চালিয়ে যান। হাইস্কুলে থাকতেই তার কৌতুক প্রতিভার স্ফুরণ শুরু হয়। হাইস্কুলে তিনি ‘ক্লাস ক্লাউন’ নির্বাচিত হন এবং স্কুল গ্র্যাজুয়েশনের সময় ‘শিক্ষকদের দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে খেতাব পেয়ে যান। কলেজে পড়ার সময় রেস্টুরেন্টে কাজ করেছেন।