হকার থেকে অলিম্পিকের হিরো!
- লিডারশিপ ডেস্ক
এমন অনেক জীবনের গল্প আছে যা রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। এর বাস্তব উদাহরণ হয়তো ব্রাজিলের রবসন কনসেইকাও। ছোটবেলায় যে কনসেইকাও ব্রাজিলিয়ান শহর সালভাদরের রাস্তায় রাস্তায় আইসক্রিম বা মৌসুমি সবজি বিক্রি করেছেন। কালের পরিবর্তনে তিনিই আজ অলিম্পিকের নায়ক। দেশের গর্বিত সন্তান।
গত মঙ্গলবার কনসেইকাওর হাত ধরেই এল ব্রাজিলের অলিম্পিক ইতিহাসে বক্সিংয়ের প্রথম সোনা। তবে এই দুর্গম পথ পাড়ি দেয়া কনসেইকার পক্ষে মোটেও সহজ ছিল না। বক্সিংয়ের অনুশীলনের জন্য চোট পাওয়ার ভান করে তিনি হাসপাতালে যেতেন। হাতে বাঁধা ব্যান্ডেজ খুলে, সেটিতে কবজি মুড়ে বাউটে নামতেন তিনি।
দেশের হয়ে বক্সিংয়ে প্রথম সোনা জেতার পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি একজন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। আজ থেকে আমার জীবনটাই পাল্টে গেল। এটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত।’
এমন কীর্তির দিনেও নিজের অতীতের কথা ভোলেননি কনসেইকাও, ‘আমি অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি, তাই এ পদক শুধু আমার সাফল্য নয়, বরং আমার পরিবারের এবং যাঁরা আমাকে এ পথে এগোতে সাহায্য করেছেন, আমাকে ছোটবেলা থেকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।’
২৭ বছর বয়সী এই লাইটওয়েট বক্সার নিজের এমন গৌরবের পেছনে নিজের দুই বছরের মেয়ের অবদানই দেখছেন, ‘আমি ওকে বলব, তুমিই আমার সবচেয়ে অনুপ্রেরণা। আমি ওকে সবচেয়ে বড় উপহারটিই দিতে চেয়েছিলাম।

 
	                
	                	
	             
	                       			                       	 
	                       			                       	 
	                       			                       	 
	                       			                       	