বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় : মানসম্মত শিক্ষা ও সুশাসন
- শেখ নাহিদ নিয়াজী
বর্তমানে বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসার লক্ষণীয় বাস্তবতা। এই মুহূর্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৯৫টি। এসব বিশ্ববিদ্যালয় ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’-এর আলোকে ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বছর ধরে সরকারি কোনো আইন-কানুন বা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না। উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নির্ধারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০১৫ সালে ‘উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন প্রকল্প’ হাতে নেয়। ২০১৫ সালে ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় (১০টি সরকারি এবং তিনটি বেসরকারি) এই প্রকল্পের অধীনে আসে। বর্তমানে সর্বমোট ৬১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সরকারি ২৯ এবং বেসরকারি ৩২) এই প্রকল্প চালু আছে। এই প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত স্বনির্ধারণী প্রতিবেদনগুলো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে জমা দেবে। অতঃপর এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল দ্বারা উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণে সক্ষম বলে বিবেচিত হবে।
গত ৭ মার্চ ২০১৭ ‘বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল বিল-২০১৭’ সংসদে পাস হয়েছে। এই বিলের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত করা। ১৩ সদস্যবিশিষ্ট (একজন সভাপতি, চারজন স্থায়ী এবং আটজন অস্থায়ী সদস্য) এই কাউন্সিলটি একটি স্বাধীন এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে, সেগুলোকে এই কাউন্সিল সনদ প্রদান করবে। এ কাউন্সিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানক্রম (র্যাংকিং) নির্ধারণ করে প্রকাশ করবে। নিঃসন্দেহে এটি সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যেটির আওতায় সব বিশ্ববিদ্যালয় একটি অভিন্ন উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে।
‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী নয়। রূপকল্প-২০২১-এর লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদের একটি মানসম্মত এবং চাহিদা উপযোগী মানসম্মত পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে।’
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সেলফ অ্যাসেসমেন্ট কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ধরনের অংশীজনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চাকরিদাতার কাছে প্রশ্নমালা নিয়ে গিয়েছি। এই প্রশ্নমালাতে নয়টি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
১. সুশাসন : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুশাসনের চিত্র আশাব্যঞ্জক নয়। সে জন্য প্রয়োজন ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’-এর আলোকে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব সুলিখিত বিধিমালা থাকা। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠার শর্ত হচ্ছে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ও অন্যান্য উৎস থেকে আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী, বাজেট প্রণয়ন থেকে শুরু করে কোন খাতে কত বরাদ্দ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং মানসম্মত গবেষণায় কত বরাদ্দ এর কোনো তথ্যই প্রকাশ করা হয় না।
২. মানসম্মত পাঠ্যক্রম তৈরি এবং পর্যালোচনা :এই মুহূর্তে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী নয়। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে অনুষ্ঠিত পাঠ্যক্রম বিষয়ক একটি সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী নয়। রূপকল্প-২০২১-এর লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদের একটি মানসম্মত এবং চাহিদা উপযোগী মানসম্মত পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে।’ যদিও প্রতি চার বছর পরপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রম হালনাগাদ করার কথা; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় বিগত বছরগুলোতে সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
৩. শিক্ষার্থী ভর্তি, সাফল্য এবং অর্জন :বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে উচ্চশিক্ষার দ্বার অনেকখানি প্রসারিত হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করে না। গত ৬ নভেম্বর ২০১৬ ডেইলি স্টারে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষার প্রসার’ শিরোনামে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ সা’দ আন্দালিব, ‘বাংলাদেশের প্রয়োজন যোগ্য ও দক্ষ মানবসম্পদ এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মানবসম্পদ উন্নয়নে বেশি বেশি বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। বিশেষত সরকারকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাকে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে, যাতে করে সব স্তরে সমন্বিত এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হয়। যদি শিক্ষার সর্বনিম্ন স্তরের মানকে উন্নত না করা যায়, তাহলে আপনি সিসাকে স্বর্ণে পরিণত করতে পারবেন না।’
৪. ভৌত অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা :মানসম্মত অবকাঠামো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসম্মত শিক্ষা-শিখন প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভৌত অবকাঠামোগত সুবিধা বলতে বোঝায় পর্যাপ্ত সংখ্যক সুবিন্যস্ত শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষকদের বসার সুব্যবস্থা, পাঠাগার, গবেষণাগার, সেমিনার কক্ষ, অডিটোরিয়াম, চিকিৎসা কেন্দ্র, ছাত্রছাত্রীদের জন্য পৃথক কমনরুম, ক্যাফেটেরিয়া, পৃথক স্বাস্থ্যকর প্রক্ষালন কক্ষ, খেলার মাঠ, টেনিস-ব্যাডমিন্টন কোর্ট, ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল ইত্যাদি। একটি সুপরিকল্পিত, সুষম এবং উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে যথোপযুক্ত, পর্যাপ্ত, আরামদায়ক, নিরাপদ এবং সুরক্ষিত অবকাঠামো থাকা একান্ত প্রয়োজন।
৫. শিক্ষা-শিখন এবং মূল্যায়ন :মানসম্মত শিক্ষা-শিখন কার্যক্রম একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিশ্চিতকরণের প্রধানতম অংশ। পাঠদান কৌশল-পদ্ধতি আধুনিক, মানসম্মত এবং সৃজনশীল হওয়া দরকার, যাতে করে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী মনোযোগী ও কৌতূহলী হয়। তাছাড়া মূল্যায়ন পদ্ধতি এমন হওয়া উচিত যাতে করে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা এবং দক্ষতা সঠিকভাবে নিরূপিত হয়। কিন্তু বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি অনুমোদিত অভিন্ন মূল্যায়ন পদ্ধতি (গ্রেডিং পলিসি) মানছে না বলে আমরা জানি।
৬. শিক্ষার্থী সহায়তা সেবাগুলা :প্রাতিষ্ঠানিক নির্দেশনা, সহ-পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যক্রম-বহির্ভূত কর্মকাণ্ড, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা, অ্যালামনাই ডাটাবেস তৈরি এবং কমিউনিটি সেবা এটির আওতায় পড়ে। এর মাধ্যমে মানসম্মত পাঠ-অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বদানের দক্ষতাকে বিকশিত করবে।
৭. কর্মী (শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী) এবং সুযোগ-সুবিধা :একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ‘শিক্ষন-শিখন এবং গবেষণা প্রক্রিয়াকে’ গতিশীল রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। নিয়োগ প্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ হওয়া এবং চাকরিতে প্রবেশের প্রাথমিক যোগ্যতা সুস্পষ্টভাবে লিখিত থাকা জরুরি। দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ এবং তাদের চাকরির নিরাপত্তাসহ আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা (উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা, গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, স্বাস্থ্যবীমা, পেনশন স্কিম ইত্যাদি) প্রদান করা আবশ্যকীয়। তা না হলে শিক্ষকরা নিজ কর্মের প্রতি অধিক মনোযোগী হতে পারে না। শিক্ষকদের উচ্চতর ডিগ্রি নিতে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে কিছু আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা দরকার। পদোন্নতির ক্ষেত্রে শিক্ষকদের দক্ষতা যাচাইয়ের প্রধান নির্দেশকগুলো প্রাসঙ্গিক এবং সময়োপযোগী করা দরকার।
৮. গবেষণা ও প্রসার : উচ্চশিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, নতুন জ্ঞান তৈরি এবং জ্ঞান বিতরণ, যা গবেষণার মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক গবেষণার নামে মূলত ‘প্রমোশন আর্টিকেল’ প্রকাশ করে থাকেন। কারণ এটাকেই তাদের দক্ষতা যাচাইয়ের প্রধান নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য গবেষণা তহবিল গঠন করেছে।
৯. ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া ও ধারাবাহিক উন্নয়ন :বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়ার ফলাফল হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান এবং লক্ষ্য অর্জন। অভ্যন্তরীণ মান এবং ধারাবাহিক উন্নতি নিশ্চিত করতে কিছু বাস্তবসম্মত এবং কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো প্রথম বছর মান যাচাই এবং পরবর্তী চার বছর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়াও শিক্ষা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার সব ক্ষেত্রে মান নিশ্চিতকরণ সংস্কৃতি চালু করা জরুরি। আর এ সবকিছু বাস্তবায়িত করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করার অঙ্গীকার থাকা জরুরি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত করতে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে নিম্নলিখিত সুপারিশগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নিতে পারে:
ক. ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’কে যুগোপযোগী এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবান্ধব করা; খ. বাজার চাহিদা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানসম্মত এবং সময়োপযোগী পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে; গ. বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে যথাযথ অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভৌত অবকাঠামোগত সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে; ঘ. সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অভিন্ন মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রণয়ন করতে হবে; ঙ. শিক্ষকদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক এবং আকর্ষণীয় বেতন-ভাতার ব্যবস্থা, সত্যিকারের মেধাবী এবং নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরে রাখতে হবে; চ. সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন-ভাতাসহ যেসব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও সেগুলো চালু করতে হবে; ছ. শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভ্যন্তরে সুষ্ঠু এবং স্বাস্থ্যকর জ্ঞানচর্চার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; জ. শিক্ষকদের চাকরির নিরাপত্তা, অবসরের বয়সসীমা নির্ধারণ, অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হবে; ঝ. বাজার চাহিদা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিল্প খাতের সঙ্গে সেতুবন্ধ রচনা করতে হবে এবং গবেষণা খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ থাকতে হবে; ঞ. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘পাঠদান বিশ্ববিদ্যালয়’ অথবা ‘গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে; ত. অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলকে যোগ্য, দক্ষ, নির্ভীক এবং সৎ শিক্ষাবিদদের দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। পরিশেষে বলতে চাই, দেশের সব সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী উচ্চশিক্ষা কমিশনের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি