মার্কেট প্লেস মানেই ‘আপওয়ার্ক’ নয়
- মো. ইকরাম
আমাদের দেশে আপওয়ার্ক (আগের নাম ওডেস্ক) নিয়ে এত বেশি মাতামাতি হয়েছে যে সবার মধ্যে ধারণা ফ্রিল্যান্সিং মানেই আপওয়ার্কে কাজ করতে হবে। আমিসহ আরও অনেকে যখন বলি আমি ফ্রিল্যান্সিং করি, তখন অনেকেই জানতে চায়, আপওয়ার্কে কত ঘণ্টা কাজ করেছি। যদি বলি আপওয়ার্কে আমার কোন প্রোফাইল নাই, তখন সবার কাছেই বিষয়টা আশ্চর্য লাগে। তাই সবার মধ্যের এ ভুল ধারণাটি (ফ্রিল্যান্সিং মানেই আপওয়ার্ক) দূর করার জন্যই আজকের এ পর্বটি।
কেন এটি ভুল ধারণা?
আমরা বাংলাদেশের কোনো চাকরি খোঁজার জন্য সাধারণত বিডিজবস এ যাই। কিন্তু তাই বলে কি কারও কাছে মনে হয়, বাংলাদেশের সব চাকরির সংবাদ বিডিজবসেই থাকে? প্রচুর প্রতিষ্ঠান আছে তাদের লোক নেয়ার জন্য কখনোই বিডিজবসে কোনো নিউজ প্রকাশ করেনি। বাংলাদেশের চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে বিডিজবস যে রকম একমাত্র প্লাটফরম নয়, তেমনি সারা বিশ্বের কাজের খোঁজ নেয়ার জন্য কিভাবে আপওয়ার্ক একমাত্র জায়গা হতে পারে, সেটি সবাই নিজেকে প্রশ্ন করুন। বাস্তবতা হচ্ছে, অনলাইনে সারাবিশ্ব থেকে যত পরিমাণ কাজ পাওয়া যায় তার মাত্র ৭% এ মার্কেট প্লেসগুলোতে পাওয়া যায়। তাহলে বাকি কাজগুলো কোথায় পাওয়া যায় সেটিও আমি এ পর্বে লেখার চেষ্টা করব।
এ ভুল ধারণাটি ক্ষতি করছে সমাজের, কিভাবে?
আমাদের দেশের শুধু নতুনদের নয়, যারা অনেকদিন ধরে কাজ করছেন কিংবা যারা কাজ শিখাচ্ছেন তাদের মধ্যেও ধারণার অভাব রয়েছে। অনেকেই জানে না যে আপওয়ার্ক ছাড়াও আরও কতভাবে আয় করা যায়। এজন্য সবার মাঝে ছড়িয়ে গেছে, অনলাইনে আয় মানেই আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্টস থাকতে হবে। বিষয়টা এমন যে, অনেকেই জানেনা উইন্ডোজ একটি অপারেটিং সিস্টেম। এরকম আরও অনেক অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। কিন্তু অপারেটিং সিস্টেম শব্দটি বললে চিনবে না কেউ। উইন্ডোজ বললেই চিনে সবাই।
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে আপওয়ার্ককে শুধু চেনার কারণে ক্ষতি হচ্ছে নিচের কয়েকটিভাবের যারা অনেক স্বপ্ন নিয়ে কাজ শিখে আপওয়ার্ক থেকে আয়ের চেষ্টা শুরু করেন, তারা সেখানে কোনো কাজ না পেয়ে হতাশ হয় কিংবা আউটসোর্সিং সম্পর্কে ভুল ধারণার জন্ম নেয় তাদের মনে।কাজ না পেতে এক সময় অনেক কম রেটে বিড শুরু করে দেয়। কাজের রেট কমালে সবার জন্য ক্ষতির কারণ হয়, যে ক্ষতির সম্মুখীন ইতিমধ্যে সবাই হচ্ছে।
কাজ পেতে স্পামিং করছে, ডুপ্লিকেট কভার লেটার ব্যবহার করছে। কাজ না বুঝেই বিড করছে। আর সেটার খারাপ ফল ভোগ করছে অন্য দক্ষ বাঙালিরা। ক্লায়েন্টরা এখন বাঙালিদের দিয়ে কাজ করাতে এখন কম আগ্রহী। সত্যিকারের যারা কাজ পারেন, তাদেরও এখন সঠিকভাবে ক্লায়েন্টরা চিনতে পারছেন না।
আপওয়ার্কে কাজ পাওয়ার কথা বলে এখন আলাদা নতুন নতুন প্রতারণার ব্যবসারও তৈরি হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিমধ্যে অনেকে প্রতারিত হয়ে নিজের অনেক অর্থ নষ্ট করেছে এবং তাদের মনেও অনলাইনে আয় নিয়ে বাজে একটি ধারণা ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে।
শুধু আপওয়ার্কেই অনলাইনে আয় মনে করার কারণে যোগ্যতা তৈরির আগেই আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখানে বিড করা শুরু করছে। সে কারণে আপওয়ার্কে দক্ষ্য বাংলাদেশীর চেয়ে অদক্ষ্য বাংলাদেশীর সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। যা বাংলাদেশীদের দক্ষতার ব্যাপারে অন্য দেশের ক্লায়েন্টদের নেগেটিভ মেসেজ দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে অনেক বড় ক্ষতির কারণ হবে। যদিও ইতিমধ্যেই সেই ক্ষতিটা সবাই অল্প-স্বল্প ভোগ করা শুরু করেছে।
বিড করা ছাড়াও আর কিভাবে কাজ পাওয়া যায়?
১) ক্লায়েন্ট এসে সার্ভিস কিনবে
এখানে আমি দুটি বিখ্যাত মার্কেট প্লেসের নাম বলব, যেখানে কাজের জন্য বিড করতে হবে না। এসব মার্কেট প্লেসে শুধু লিখে রাখতে হয়, কি কাজ করতে চান। বায়ারই খুঁজে বের করে কাজ দেবে। এরকম দুটি মার্কেট প্লেসে নাম হচ্ছে-
Peopleperhour.com
Fiverr.com
এসব মার্কেট প্লেসে শুধু গিগ হিসেবে নিজের সার্ভিস লিখে রাখতে হয়। অর্থাৎ এভাবে লিখে রাখবেন, আমি একটি লোগো ডিজাইন করতে চাই, যার জন্য দাম রাখব ৫০ ডলার। যারা এ রেটে আপনাকে কাজ করতে চায়, তারাই খুঁজে বের করবে আপনাকে। প্রয়োজন নাই, সারাদিন মার্কেটে প্লেসে বসে থেকে নজর রাখা বায়ার নতুন কোনো কাজের জন্য লোক খুঁজছে কিনা, তারপর সে কাজে গিয়ে বিড করা। এ কষ্টটা এসব মার্কেট প্লেসগুলোতে বায়ার নিজে করে।
২) সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো কাজ পাওয়ার অন্যতম ক্ষেত্র-
আমাদের মনে রাখত হবে, আমরা সাধারণ জনগণ যেমন সোশ্যালমিডিয়া সাইটগুলো নিয়মিত ব্যবহার করি, তেমনি দেশের প্রেসিডেন্ট কিংবা অন্য বড় বড় ব্যক্তি কিংবা বড় বড় কোম্পানির মালিকরাও নিয়মিত এসব সাইটগুলোতে নিয়মিত প্রবেশ করে। এজন্য এসব জায়গাগুলো থেকেও প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। বিশেষ করে লিংকডিন (linkdin) থেকে কাজ পাওয়া যায় অনেক বেশি।
বিশ্বের বেশিরভাগ বায়াররাই মার্কেট প্লেসে গিয়ে তার কাজের জন্য নতুন কাউকে খুঁজে বের করাটাকে বিরক্তিকর কাজ মনে করে (ঠিক যেমন যে কাজ খোঁজে তার জন্য মার্কেট প্লেসে কাজ খোঁজাটা বিরক্তিকর মনে করে)। লোকাল যে কোনো চাকরির ক্ষেত্রে যেমন সবার প্রথম নিজের পরিচিতদের মধ্যে যোগ্য কেউ থাকলে তাকেই সবাই নিতে চায়, কারণ পরিচিত একজনের ব্যাপারে রিস্ক অবশ্যই কম থাকে। অনলাইনের এ যুগে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের যে কোনো কারও সঙ্গেই পরিচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে আর পরিচিত হওয়ার সে সুযোগটি করে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো। এসব সাইটে নিজেকে প্রফেশনাললি, নিজেকে কাজের দক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করুন। সোশ্যাল মিডিয়া কাজ খোঁজার জন্য অনেক শক্তিশালী একটি মাধ্যম। ফেসবুক, লিংকডিন মার্কেট প্লেস হতেই পেতে পারেন প্রচুর কাজ। তাছাড়া গ্রাফিকসের জন্য কাজ পেতে চাইলে নিচের দুটি মার্কেট প্লেসে যুক্ত থাকতে পারেন। আমার পরিচিত প্রচুর ডিজাইনার এখান থেকেই কাজ পাচ্ছে।
ক) বিহেন্স (https://www.behance.net/)
খ) ড্রিবল (https://dribbble.com/)
৩) ব্লগিংয়ের মাধ্যমে কাজ খোঁজা
ব্লগিং কাজ খোঁজার অন্যতম একটি শক্তিশালী মাধ্যম। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের কাছে নিজের কাজের দক্ষতা প্রমাণ করা সম্ভব। যে বিষয়ের ওপর কাজ পেতে চাচ্ছেন, সে বিষয়ের ওপর নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রকাশ করতে কিংবা নিজেকে ব্রান্ডিং করতে ব্লগিং অনেক বেশি কার্যকরী। আপনি যখন নিজেকে দক্ষ হিসেবে সবার কাছে ব্রান্ড করতে পারবেন, তখন কাজ খুঁজতে হবে না। বায়ার নিজে এসে আপনাকে কাজ করার জন্য অফার করবে এবং সেটি হবে অবশ্যই যে কোনো মার্কেট প্লেসের চেয়ে কমপক্ষে দ্বিগুণ রেটে। বিখ্যাত ব্লগিং সাইটগুলোতে গেস্ট হিসেবে ব্লগিং করে কিংবা নিজের পার্সোনাল ব্লগ তৈরি করে ব্লগিং শুরু করতে পারেন, যার লক্ষ্য থাকবে আপনার দক্ষতাকে ব্রান্ডিং করা।
যত সময় ব্যয় করবেন মার্কেট প্লেসে কাজের জন্য বিড করে কিংবা কাজ খুঁজে, ব্লগিংয়ের জন্য তার চেয়ে বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু আপনার একেকটি ব্লগপোস্ট আপনাকে বাঁচিয়ে রাখবে বহুদিন।
৪) ফোরাম পোস্টিংয়ের মাধ্যমে
অনেকে ভাবছেন লেখালেখি আপনার দ্বারা সম্ভব হবে না। সুতরাং ব্লগিং করে কাজ যোগাড় বুদ্ধিটি আপনার কাজে লাগবে না। সোশ্যাল মিডিয়াতে কিভাবে নিজের স্কিল হিসেবে প্রকাশ করব, সেটিও আমার দ্বারা হবে না মনে করছেন, তারা ফোরাম পোস্টিং করে নিজে দক্ষতা সবার সামনে প্রকাশ করতে পারেন। ব্লগিংয়ে লেখার জন্য টপিকস খুঁজতে হলেও ফোরামে সেই ঝামেলাতে পড়তে হবে না। কারণ এখানে বিভিন্ন জনের প্রশ্নের উত্তরগুলো ভালোভাবে আকর্ষণ করার মতো করে দিলেই হবে। এরকম নিয়মিত কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর উত্তর দিতে থাকলে সেই বিষয়ের ওপর আপনার দক্ষতা সবার কাছেই প্রকাশিত হয় অর্থাৎ সেই দক্ষতা বিষয়ে নিজের ব্রান্ডিংটা হয়ে যায়, নিজের ব্রন্ডিং হলে কি সুবিধা হবে সেটি আগের প্যারাতে আলোচনা করেছি।
৫) ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে
ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কিত বেসিক জ্ঞান থাকলে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম খুঁজে বের করে তাদের অফার জানিয়ে নিয়মিত মেইল করুন। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এভাবে প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। বড় আকারে কাজ পেতে চাইলে এ পদ্ধতি অনেক বেশি কার্যকরী। সবারই ইচ্ছা থাকে ভবিষ্যতে বড় আইটি প্রতিষ্ঠান তৈরির। যারা এরকম চান, তাদের জন্য এ পদ্ধতিটি বেশি কার্যকরী। তবে আগে একটি প্রফেশনাল পোর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরি করে নিলে বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
৬) পোর্টফলিও সাইট তৈরি করে এসইও করার মাধ্যমে
নিজের একটি পোর্টফলিও সাইট তৈরি করে সেই ওয়েবসাইটকে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড দিয়ে গুগল সার্চের ফলাফলের প্রথমে নিয়ে আসতে পারলে সেখান থেকে কাজ পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটকে আগে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হয়। এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলো র্যাংকিংয়ের পাশাপাশি ট্রাফিক অ্যানগেজমেন্টর উপরই কাজ পাওয়া বেশি নির্ভর করে। আর এভাবে কাজ যোগাড় করলে সারাজীবনই কাজ পেতে থাকবেন।
৭) ভিডিও মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে
ইউটিউবে নিজের একটি ভিডিও চ্যানেল খুলে সেখানে যে সম্পর্কিত কাজ করতে আগ্রহী সে সম্পর্কিত নিজের ভিডিও তৈরি করে নিয়মিত আপলোড করুন। এমন ভিডিও তৈরি করতে হবে, যাতে সেটা দেখে অন্যদের ভিতর সেই কাজের ব্যাপারে আপনাকে অভিজ্ঞ হিসেবে ধারণাটা পাকাপোক্ত হবে। এ ভিডিওকে ইউটিউবের সার্চের প্রথমে নিয়ে আসার কাজটিও করতে হবে। না হলে ভিডিওটি বেশি মানুষের নজরে আসবে না। বেশি মানুষ আপনার ভিডিও না দেখলে উদ্দেশ্য সফল হবে না অর্থাৎ কাজ পাবেন না।
৮) ব্লগ কমেন্টিংয়ের মাধ্যমে
ভালো ভালো কিছু ব্লগ রয়েছে যেগুলো প্রচুর মানুষ ভালো কিছু শিখার জন্য যায়। সারা বিশ্বের প্রচুর মানুষ নিয়মিত এসব সাইটগুলোতে ভিজিট করে। আপনি যদি এসব সাইটে ব্লগ লিখতে পারেন, তাহলে টার্গেটেড লোকদের কাছে খুব সহজে নিজের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করতে পারবেন। কিন্তু ধরে নিলাম লেখালেখির অভ্যাস নেই। কোনভাবেই লিখতে পারবেন না। তাহলে কি উপায়? এসব ব্লগে প্রকাশিত পোস্টগুলোতে সবার নজরে আসার মতো করে কমেন্ট করুন নিয়মিত। এসব কমেন্টের মাধ্যমেও আপনার নিজেকে ব্রান্ডিং করার সুযোগ আছে। সাধারণ দেখা যায়, ৪-৫টি ভালো কমেন্টের পর সেই কমেন্টকারী ব্যক্তির পরিচয় কিংবা যোগাযোগ করার মাধ্যম অন্যরা খোঁজার চেষ্টা করে এবং সোশ্যালমিডিয়াতে সেই কমেন্টকারী ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত হয় এবং নজরে পড়ার মতো ৮-১০টি কমেন্ট করতে পারলে কাজ পাওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হয়।
৯) প্রেজেন্টেশন স্লাইড আপলোডের মাধ্যমেও কাজ পাবেন
স্লাইডশেয়ার (slideshare.net) নামে একটি সাইট রয়েছে যেখানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন আপলোড করা হয়। এ সাইটের লিংকগুলো গুগলে খুব সহজে র্যাংক পায়। গুগলের কাছে যেমন জনপ্রিয় এ সাইটটি। তেমনি প্রচুর মানুষের কাছেও জনপ্রিয়। আর সেজন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর মানুষ এ সাইটে এসে নিয়মিত তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিষয় সার্চ করে। সেজন্য নিজের একটি প্লানিং ঠিক করেন। প্রতি মাসে কমপক্ষে ২টি প্রেজেন্টেশন এ সাইটটিতে পোস্ট করবেন। এ প্রেজেন্টেশনটির কন্টেন্ট হবে অবশ্যই অন্যদের জন্য উপকারী। তবে প্লেজেন্টেশনটির শেষ স্লাইডে আপনি কাজ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এভাবেও অনেককে আমি কাজ পেতে দেখেছি।
১০) অন্য একটি এক্সক্লুসিভ টিপস
আমরা অনেক সময় দেখি ফেসবুকে নিজেদের বন্ধু লিস্টের মধ্য থেকে নিচের মতো পোস্ট দেখি। ‘একজন লোগো ডিজাইনার লাগবে। কেউ থাকলে আওয়াজ দিন।’
তখন আমরা কাজ জানা থাকলে সেখানে গিয়ে হয়তো অনুরোধ করি কাজটি পাওয়ার জন্য। বন্ধু লিস্ট থেকে হয়তো মাঝে মাঝে ১-২ দিন এরকম দেখি। এবার এমন একটি টিপস দিব, যার মাধ্যমে সারা বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে যত মানুষ এরকম লোক চেয়ে তাদের নিজেদের প্রোফাইলে স্ট্যাটাস দিয়েছে, তা একবারে খুঁজে বের করতে পারবেন। অবশ্য এটি এখনও ফেসবুকে করা সম্ভব না। কাজটি করার জন্য টুইটারে যেতে হবে।
টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টে লগইন করে এ লিংকটিতে (https://twitter.com/search-advanced) প্রবেশ করুন। সেখানের সার্চ অপশনটি কাজে লাগিয়ে খুঁজে বের করুন, কারা কাজ করানোর জন্য লোক খুঁজছে। সেসব লোকের পোস্টে গিয়ে কমেন্টে আপনার অফারটি দিয়ে আসুন। সেই অফার পছন্দ হলে কাজ পেয়ে যেতে পারেন।
যে কোনো মাধ্যমেই কাজ খুঁজতে যান, নিজের কাজের বিষয়ে একটি পোর্টফলিও অবশ্যই তৈরি করে নিতে কেউ ভুলবেন না। কারণ এ পোর্টফলিওতে থাকা কাজগুলো দেখেই বায়ার কাজ দিতে আগ্রহী হবে। বায়ারের সঙ্গে কাজের ব্যাপারে কথা বলার শুরুতে আগের করা কাজ অবশ্যই দেখতে চাইবে।