ক্যারিয়ারে ধৈর্য্য পরীক্ষা
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
বর্তমানে একটা ভালো চাকরি যেন সোনার হরিণ। তারপরও প্রত্যেকের স্বপ্ন থাকে ভালো ক্যারিয়ার গড়ার। চলার পথে ভালো ক্যারিয়ার শুধু জীবনটাকেই সুন্দর করে তোলে না, একইসঙ্গে আপনার পরিজনকেও রাখে চিন্তামুক্ত। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গণ্ডি পেরিয়ে ২০–২৫ বছরের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমরা আদা–জল খেয়ে কাজে নেমে পড়ি। এ কাজে কেউ কেউ সফল হলেও অনেকেই আছেন যারা সফল হতে পারেন না। আসলে কিছু ব্যক্তিগত ও ভাবনাগত অভাবের কারণেই তারা তাদের স্বপ্নকে ধরতে পারেন না। এক্ষেত্রে সফল হতে ধৈর্য্য এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত এই অভাবগুলোকে কাটিয়ে তুলুন। দেখবেন, শেষ পর্যন্ত জয় আপনারই হবে।
এবার জানুন স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়তে কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন এসব অভাব:
ইতিবাচক মনোভাব
সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়তে ইতিবাচক মনোভাবের বিকল্প নেই। কেননা ইতিবাচক অবস্থান একজন মানুষকে কোলাহল, উত্তেজনা উগ্রতা, দুঃশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখে। এতে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়াটা অনেক ভালো হয়। আর মনকে প্রফুল্ল রাখতে পারলে শুধু স্বপ্নের চাকরি নয়, বরং যেকোন কাজেই সফলতা পেতে পারি আমরা।
নিজেকে জানুন
স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়তে নিজেকে ভালোভাবে জানার বিকল্প নেই। মনে রাখবেন, নিজের উপর যতটা নির্ভরশীল হবেন, সাফল্যের পথে আপনি কিন্তু ঠিক ততটাই এগিয়ে থাকবেন।
চাহিদা ও দক্ষতা নির্ধারণ
প্রত্যেকেরই উচিত অবসর সময়টাতে নিজেকে তৈরি করা। এইচএসসি পাস একজন নিশ্চয়ই ব্যাংকের চিফ এক্সিকিউটিভ হিসেবে চাকরি পাবে না। তাই নিজের দক্ষতার উপর নির্ভর করেই চাহিদার চাকরিগুলোকে বেছে নিতে হবে। তারপর সর্বোচ্চ কাঙ্ক্ষিত চাকরিটা পেতে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে হবে। দেখবেন সফল আপনি হবেনই।
ব্যক্তিত্ব নিরূপণ
কর্মক্ষেত্রে সফল হতে হলে ব্যক্তিত্ব নিরূপণ করার দায়িত্বও কিন্তু আপনারই। পার্সোনালিটি নিরূপণ করার জন্য আপনি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন তৈরি করে নিতে পারেন। অথবা কারও তৈরি করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে নিজেকে যাচাই করে নিতে পারেন।
নমনীয়তা
উগ্রতা সর্বদাই খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। কোনো কাজই জোরপূর্বক করে নেওয়া যায় না। আর জোরপূর্বক করে নেওয়া হলেও পরিবর্তিতে তার কুফল ভোগ করতেই হয়। তাই উগ্রতা নয়, নমনীয়তায় জীবন গড়ার চেষ্টা করুন। জয় আপনার হবেই।
পরামর্শ গ্রহণ
অনেক সময়ই আমরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগী। এ সময় আমাদের সকলের উচিত পরিবার, বন্ধু–বান্ধব, আত্মীয় কিংবা কোন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে সঠিক ও উপযুক্ত চাকরিটা বেছে নেওয়া। বিশেষ করে বিশেষজ্ঞরা চাকরির বাজার সম্পর্কে প্রচুর জানেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রতিযোগিতামূলক কর্মক্ষেত্র, ক্রমোন্নতি ও বেতন সবদিক সম্পর্কেই একজন বিশেষজ্ঞ আপনাকে সঠিক চাকরিটি বেছে নিতে সহায়তা করতে পারবেন।
সময় সচেতনতা
প্রত্যেকটা মানুষেরই উচিত সময়ের সঠিক ব্যবহার করা। সময়ের কাজ সময়ে করতে পারলে যেকোনো ব্যক্তিই তার ক্যারিয়ারকে সফল স্থানে নিয়ে যেতে পারবে।
নেটওয়ার্ক তৈরি
সফল ক্যারিয়ার গড়তে আপনাকে অবশ্যই একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। তবে নেটওয়ার্কটি অবশ্যই সৎ ও উদ্দেশ্যবহুল হওয়া চাই। নানাজনের সঙ্গে কথা বলে ও বন্ধুত্ব করাটাও সফল ক্যারিয়ার গড়তে সহায়তা করতে পারবে।
সহিষ্ণুতা
কোন কাজেই তাড়াহুড়া করাটা ভালো না। তাড়াতাড়ি যেকোনো কাজের মধ্যে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কাজেই ধৈর্য্য ধরে চেষ্টা করুন। দেখবেন জয় আপনারই হবে।