পণ্য ব্যবস্থাপক থেকে পেপসিকোর সিইও
- লিডারশিপ ডেস্ক
ইন্দ্রা কৃষ্ণমুর্তি নুইয়ের জন্ম ২৮ অক্টোবর ১৯৫৫ সালে। বিখ্যাত খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থা পেপসিকোর প্রধান কার্যনির্বাহক তিনি। ২০০৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে কোম্পানির প্রধান কার্যনির্বাহকের পদে, স্টিভেন রিনেমন্ডের উত্তরসূরি হিসেবে নুইকে মনোনীত করা হয়। ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করা হয় এবং ২০০৭ সালের ২ মে থেকে তিনি তার দ্বায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সালের ফোর্বস সাময়িকী পৃথিবীর ১০০ প্রভাশালী নারীর তালিকায় নই স্থান পান তৃতীতে। ফরচুন ম্যাগাজিন তাদের বার্ষিক মান নির্ধারণের বিচারে তাকে ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৮ সালগুলোর জন্য সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নারী হিসেবে নামাঙ্কিত করে।
কর্মজীবন
ভারতে নুই জনসন অ্যান্ড জনসন এবং মেটুর বিয়ার্ডশেল সংস্থায় পণ্য ব্যবস্থাপক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮০ সালে নুই দ্য বস্টন কনসাল্টিং গ্রুপে এবং তারপর মটোরোলা, এশিয়া ব্রাউন বভেরি প্রভৃতি সংস্থায় পরিচালন কৌশলীর পদাধিকারিণী হিসেবে কাজ করেন। পেপসিকোর বোর্ড অব ডিরেক্টরসের একজন সদস্য হওয়া ছাড়াও তিনি ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি, ক্যাটালিস্ট বোর্ডেরও একজন সদস্য এবং লিংকন সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টসের সদস্য। তিনি পরম্পরাগতভাবে একজন অংশীদার ইয়েল করপোরেশনের এবং আইসেনহাওয়ার ফেলোশিপ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং বর্তমানে ইউএস-ইন্ডিয়া বিসনেস কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবেও কর্মরত।
পেপসিকোর নির্বাহী
ইন্দ্রা নুই ১৯৯৪ সালে পেপসিকোয় যোগদান করেন এবং ২০০১ সালে তাকে কোম্পানির সভাপতি ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (ঈঊঙ) হিসেবে মনোনীত করা হয়। কোম্পানির বিশ্ব পরিচালন ব্যবস্থাকে তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন; যার মধ্যে পেপসিকোর ১৯৯৭ সালের পুনর্গঠন হয়, যাতে ট্রাইকোন নামক রেস্তোরাঁগুলো থেকে কোম্পানির বিচ্ছিন্নকরণও অন্তর্গত, যা বর্তমানে ইয়াম! ব্র্যান্ডস নামে পরিচিত। নুই ১৯৯৮ সালে ট্রপিকানার অর্জনে এবং কাকার ওটস কোম্পানির সঙ্গে একত্রীকরণের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যার ফলে গাটোরেড ও পেপসিকোর অধীনস্থ হয়। ২০০৭ সালে পেপসিকোর ৪৪ বছরের ইতিহাসে তিনি পঞ্চম চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হন।
হৃদয়বৃত্তি ও রসিকতা সহকারে তার দৃঢ়তা এবং গভীর পর্যবেক্ষণ তার ব্যবসায়িক সহকর্মীদের দ্বারা উচ্ছ্বসিতভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বিসনেজ উইক অনুসারে, ২০০০ সালে কাজ শুরু করার পর কোম্পানির বার্ষিক রাজস্ব আয় ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং ২০০৬ সালে সর্বমোট লাভ দ্বিগুণের চেয়েও বেশি, ৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ২০০৭ ও ২০০৮ সালে ৫০ জন সফল নারীর তালিকায় এবং টাইমসের ২০০৭ ও ২০০৮ সালে পৃথিবীর ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় তার নাম ছিল।
বেতন
২০০৮ সালে পেপসিকোর হিসেবে ইন্দ্রা নুইরের সর্বমোট বেতন ছিল ৪,৯১৭,৭০১ মার্কিন ডলার, যার মধ্যে ১,৩০০,০০০ ডলার মৌলিক বেতন, ২,৬০০,০০০ ডলার নগদ বোনাস, ৬,৪২৮,৫৩৮ ডলার এর উপাদান এবং ৪,৩৮২,৫৬৯ ডলার ঐচ্ছিক ছিল। ২০১৪ সালে তার সম্পদ ছিল মোট ১৪ কোটি ডলারের বেশি।