বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ
- অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক
বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ তিনটি। যেমন আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার আরও অবনতি, রাজস্ব খাতের সংস্কারের ক্ষেত্রে পিছু হটা ও ২০১৯ সালে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। দাতা সংস্থাটি আরও বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈশ্বিক সংযোগ এখনো কম। তারপরও বৈশ্বিক কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছু ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে নীতির অনিশ্চয়তা এবং জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি।
বিশ্বব্যাংক গত রোববার সাউথ এশিয়া ফোকাস নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানেই এসব কথা বলা হয়েছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বছরে দুবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এবারের শিরোনাম ‘গ্লোবালাইজেশন ব্যাকল্যাশ’ বা বিশ্বায়নের প্রতিক্রিয়া। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক বলেছে, রাজস্ব ও আর্থিক খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আয় বাড়বে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি অবকাঠামো ঘাটতি কমাতে পারলে এবং ব্যবসায় পরিবেশের উন্নতি হলে বাংলাদেশ আরও উৎপাদনশীল খাতকে আকৃষ্ট করতে পারবে। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে।
বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের উচ্চহার ব্যাংকগুলোকে আর্থিক চাপের মুখে পড়ার ঝুঁকিতে ফেলছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য কয়েকটি ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি হচ্ছে খেলাপি ঋণের উচ্চহার। সংস্থাটির মতে, বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে সংস্কার দরকার, যাতে প্রতিযোগিতামূলক আচরণ ও মূলধনের জোগান নিশ্চিত হয়।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা অপেক্ষাকৃত ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছে। বিগত অর্থবছরে ৭ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা স্থিতিশীল। তবে অবকাঠামোর ঘাটতি, জ্বালানির সংকট ও ব্যবসা করার খরচ বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা অর্জনে এখনো বাধা হয়েই আছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশটি তিনটি ভাগে বিভক্ত। প্রথমে সাম্প্রতিক অবস্থা তুলে ধরার পর প্রতিবেদনে অর্থনীতি সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। শেষে কিছু ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জের কথা বলা হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এই হার ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অবশ্য খানিকটা কমে ৬ দশমিক ৪ শতাংশে নামবে।