গল্পটা গালিবের
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ক্যাম্পাসে বন্ধুরা ডাকেন ‘রিসার্চার’ নামে! দুষ্টুমি করে কেউ কেউ ‘বুঝদার’ও বলেন। বলবেন না-ইবা কেন। হোক গবেষণা, উপস্থিত বক্তৃতা কিংবা বিতর্ক প্রতিযোগিতা—নিয়ামাত উল্লাহ আল গালিব সেখানে আছেন। পড়ছেন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এনইউবি) আইন বিভাগে। যুক্তি-তর্কের কলাকৌশলগুলো তাই তাঁর বেশ ভালোই জানা আছে। খুব আগ্রহ নিয়ে এই বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। পড়া শুরু করার পর আগ্রহ বেড়েছে আরও। তৃতীয় বর্ষে পড়ুয়া এই ক্যাম্পাসের তারকার গল্পই আজ শোনা যাক।
গালিব নাকি কথা বলতে ভালোবাসেন। প্রমাণ, সম্প্রতি মোরাল এডুকেশন গ্রোথ হিউম্যানিটির উন্মুক্ত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় ‘চ্যাম্পিয়ন’ খেতাব জুটেছে তাঁর ঝুলিতে। নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের আন্তবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সেরা বিতার্কিকের পুরস্কার পেয়েছিলেন, তাঁর দলও জিতেছিল চ্যাম্পিয়নের মুকুট। বর্তমানে তিনি এনইউবি ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। নেতৃত্ব দিতেও পটু গালিব জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ক্লাব আয়োজিত ন্যাশনাল লিডার সামিট ২০১৭-এর ‘বেস্ট ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর’ হয়েছেন।
ছোটবেলা থেকেই আবৃত্তি করতে ভালোবাসতেন। তখনই হয়তো মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলার প্রতি তাঁর একটা ঝোঁক তৈরি হয়েছিল। এখন একসঙ্গে কাজ করছেন বেশ কিছু সংগঠনের সঙ্গে। গালিব বলছিলেন, ‘ইয়ুথ এগেইনস্ট হাঙ্গার’-এর পঞ্চম ছায়া অধিবেশনে ‘ইয়ুথ মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। এনইউবি মুট কোর্ট ক্লাবে কাজ করছি গবেষক হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ইনোভেশন ক্লাবেও আছি।’
জানালেন, সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপমেন্টের জুনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করছেন তিনি। এ ছাড়া দুটি আন্তর্জাতিক মুট কোর্ট প্রতিযোগিতা ‘ন্যাশনাল হেনরি ডান্যান্ট মুট কোর্ট কমপিটিশন ২০১৬’ এবং ‘ফিলিপ সি জেসাপ ইন্টারন্যাশনাল ল মুট কোর্ট কমপিটিশন ২০১৭’-তে অংশ নিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে।
এত কিছুর সঙ্গে জড়িত আছেন বলে পড়ালেখায় হেলা করেননি গালিব। এখন পর্যন্ত সিজিপিএ ৩.৮-এর ওপরেই ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। বাবা মুজাম্মিল হোসাইন ও মা খাদিজা বেগমের সন্তান গালিবের বেড়ে ওঠা ঝালকাঠী শহরে। মা-বাবা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা তাঁর শক্তি। তাই স্বপ্নটাও অনেক বড়। বলছিলেন, ভবিষ্যতে একদিন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হতে চান।