জাপানে নিশ্চিত ক্যারিয়ার! সাড়ে ৩ লাখ কর্মী নেবে জাপান
- এবি রাফি
জাপানে বিশেষায়িত দক্ষ কর্মী নিয়োগের তালিকায় নবম দেশ হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের নাম। এর আগে থেকে চীন, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, মঙ্গোলিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম কর্মীদের নিচ্ছে জাপান। সম্প্রতি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জাপানের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দেশটির জাতীয় পরিকল্পনা এজেন্সির মধ্যে একটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে জাপানের শ্রমবাজারে ৫ বছরের মধ্যে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ বাংলাদেশি কর্মীর জন্য পথ সুগম হলো। একজন কর্মীর মাসিক বেতন হবে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সহযোগিতা স্মারক অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ১৪টি নির্দিষ্ট খাতে বিশেষায়িত দক্ষ কর্মী নেবে জাপান। আর এই কর্মীদের খরচ বহন করবে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
জাপান দু’টি ক্যাটাগরিতে ১৪টি সেবা, কৃষি, শিল্প ও নির্মাণখাতে বিশেষ দক্ষ ও জাপানিজ ভাষায় পারদর্শী কর্মীদের নিয়োগ দেবে। এই ১৪ খাত হলো—নার্সিং কেয়ার, রেস্টুরেন্ট, কনস্ট্রাকশন, বিল্ডিং ক্লিনিং, কৃষি, খাবার ও পানীয় শিল্প, সেবা খাত, ম্যাটারিয়ালস প্রেসেসিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারি, ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, মৎস্য শিল্প, অটোমোটিভ যন্ত্রাংশ তৈরি শিল্প এবং এয়ারপোর্ট গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং অ্যান্ড এয়ারক্রাফট মেনটেইনেন্স (এভিয়েশন)।
প্রথম ক্যাটাগরিতে জাপানি ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা থাকলে পরিবার ছাড়া জাপানে পাঁচ বছর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পাবেন। আর দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে যাদের জাপানি ভাষা ও নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা প্রথম ক্যাটাগরির কর্মী থেকে বেশি তারা পরিবারসহ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করার সুযোগ পাবেন।
জাপানের নতুন স্পেসিফায়েড স্কিলড ভিসা চালু করায় এখন থেকে জাপান বিপুল-সংখ্যক বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী জাপান ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪০০ বাংলাদেশি শ্রমিক জাপানের বাজারের প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। গত ডিসেম্বরে জাপান সরকার সংসদে এই বিল পাস করে।
টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম : স্পেসিফায়েড স্কিলড ভিসা ক্যাটেগরি-১
জাপান সরকারের স্পেসিফায়েড স্কিল ভিসা ক্যাটেগরি-১ অনুযায়ী ১৪টি খাতের কর্মীরা ৫ বছরের জন্য ভিসা পাবেন। আবেদনকারীকে এই ক্যাটেগরির ভিসার জন্য জাপানি ভাষায় পরীক্ষা এবং দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হবে। এই ভিসার আওতায় কর্মীরা তাদের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবে না। এই ক্যাটেগরির ভিসা সীমিত সময়ের জন্য নবায়ন করা যাবে কিন্তু দ্বিতীয় ক্যাটেগরির ভিসায় পরিবর্তন করার জন্য সময় বাড়ানো হবে না। জাপানের ইমিগ্রেশন বিভাগ বলছে, প্রথম বছরে এই ক্যাটেগরিতে ৪৭ হাজার ৫৫০টি ভিসা দেওয়া হবে। বাকিগুলো আগামী ৫ বছরব্যাপী দেওয়া হবে। এছাড়া, এই ক্যাটেগরিতে শুধু নার্সিং কেয়ার খাতেই ৬০ হাজার ভিসা দেওয়া হবে।
১৪টি খাতে যে কয়টি ভিসা দেবে জাপান
নার্সিং কেয়ারে ৬০ হাজার, রেস্টুরেন্ট খাতে ৫৩ হাজার, কনস্ট্রাকশন খাতে ৪০ হাজার, বিল্ডিং ক্লিনিং খাতে ৩৭ হাজার, কৃষি খাতে ৩৬ হাজার ৫০০, খাবার ও পানীয় শিল্পে ৩৪ হাজার, সেবা খাতে ২২ হাজার, ম্যাটারিয়ালস প্রেসসিং খাতে ২১ হাজার ৫০০, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারি ৭ হাজার, ইলেকট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি ৪ হাজার ৭০০, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে ১৩ হাজার, মৎস্য শিল্পে ৯ হাজার, অটোমোবাইল মেনটেইনেন্স শিল্পে ২১ হাজার ৫০০, এয়ারপোর্ট গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং অ্যান্ড এয়ারক্রাফট মেনটেইনেন্স (এভিয়েশন) খাতে ২ হাজার ২০০ মিলিয়ে ৫ বছরের মধ্যে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪০০ বাংলাদেশি কর্মীকে ভিসা দেবে জাপান সরকার।
প্রসঙ্গত, জাপানের শ্রম আইন অনুযায়ী, একজন কর্মীর ন্যূনতম বেতন বাংলাদেশি মুদ্রায় ঘণ্টায় প্রায় ৭০০ টাকা। প্রত্যেক কর্মী দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন। তবে, কিছু কিছু খাতে সপ্তাহে ৪৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করার সীমাবদ্ধতা আছে। সে হিসাবে একজন কর্মীর মাসিক বেতন হবে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
সংশ্লিস্ট সূত্র জানায়, বিদেশি কর্মীদের বেতন জাপানের স্থানীয় নাগরিকদের সমান অথবা বেশি হতে পারে। আর বেতনের টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (আইএম) জাপানের সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারকের আওতায় সরকারিভাবে বর্তমানে কারিগরি শিক্ষানবিস হিসেবে কর্মী পাঠানো হচ্ছে সে দেশে।
কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) হিসাব অনুযায়ী, গত বছর মাত্র ১৬৩ জন টেকনিক্যাল ইন্টার্ন জাপানে পাঠাতে পেরেছে বাংলাদেশ। চলতি বছর ৪০০ কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও জুলাই পর্যন্ত গেছে মাত্র ১১৯ জন। আরও প্রায় এক হাজার কর্মীর ভাষা প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন জেলার ২৭টি কেন্দ্রে ৪০ জন করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিএমইটি। চার মাস মেয়াদি জাপানি ভাষা শেখার এসব প্রশিক্ষণের পর পরীক্ষায় বসেন কর্মীরা। উত্তীর্ণ হলে আইএম জাপানের ব্যবস্থাপনায় আরও চার মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষানবিস হিসেবে তাদের জাপানে নিয়ে যাওয়া হয়। জাপান সরকারের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী তারাও নতুন এই ভিসা সিস্টেমে আবেদন করতে পারবেন।
ভাষা শিক্ষা
জাপানে যেতে হলে জাপানি ভাষা জানতে হবে। এজন্য জাপানি ভাষার এন ফোর লেভেল পর্যন্ত জানতে হবে। জাপানি ভাষায় এন ফাইভ হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়। এর পরের ধাপ হচ্ছে এন ফোর লেভেল। অর্থাৎ জাপানি ভাষায় বলতে, লিখতে ও পড়তে জানতে হবে। সরকার অনুমোদিত জাপানিজ ভাষা প্রতিষ্ঠানে শেখা যাবে। এছাড়াও সরকার অনুমোদিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভাষা শিখতে পাড়বেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে জাপানে উচ্চ শিক্ষা এবং স্থায়ীভাবে বসবাস করতে যাওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে জাপানের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। তবে সে তুলনায় লোকবল দিনদিনই কমছে। বিশ্ব জনসংখ্যা রিভিউ রিপোর্ট -২০১০ অনুযায়ী, জাপানের জনসংখ্যা গত ৫ বছরেই কমে গেছে প্রায় ১০ লাখ। এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে দক্ষ জনশক্তিকে জাপানে চাকরি ও শিক্ষা অর্জনে উৎসাহিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। আর এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনের মতো দেশগুলো। অনেকে হয়তো শুনেছেন টোকিওতে এপ্রিল সেশনে COE আসেনি। অনেকই হতাশ হয়েছেন। জাপানে অনেক প্রভিন্স আছে যেখানে অনেক স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটি আছে। এই সব প্রভিন্সেও খুব সহজে পড়াশুনা ও কাজ করা যায়। জাপানের বিভিন্ন প্রভিন্সে সমান ভাবে পড়াশুনার পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজ করে টিউশন ফি, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় ও দেশে টাকা পাঠানো সম্ভব। বরং অন্য প্রভিন্সে টোকিওর তুলনায় খরচ কম। জেনে নিন কিছু প্রভিন্সির নাম যেখানে আপনারা খুব সহজেই আবেদন করতে পারবেন।
২০১৯ এপ্রিল থেকে চালু হয়েছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। তিন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আমরা কাজ করছি। যেমন: ১. টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ভিসা ২. নন স্কিলড ভিসা ৩. হাই স্কিলড ভিসা। যেহেতু এটি একটি জাপানিজ প্রতিষ্ঠান। যার কারণে আমরাই প্রথম ব্যক্তিগতভাবে ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে কাজ করছি। এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক জনাব তরু ওকাজাকি যেহেতু জাপানিজ, তিনি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে কোম্পানিগুলকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান। যার ফলে আমরা বাংলাদেশে জব ইন্টারভিউর আয়োজন করছি। জব ভিসা সমূহ বিস্তারিত জানতে সবাইকে সেমিনারে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ করছি।
টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ভিসা
★যোগ্যতা : HSC/ডিপ্লোমা/ এ লেভেল পাশ
★কাজের ক্ষেত্র : Catering, Construction, farming Care-giver etc.
★Visa Validity: 05 Years
নন স্কিল ওয়ার্ক ভিসা
★যোগ্যতা: Honors/Masters in Any Discipline
★Visa Validity: 1-3 Years (Renewable)
হাই স্কিল ভিসা
★শিক্ষাগত যোগ্যতা : CSE & EEE
Fresher can apply.
★Visa Validity: 1-3 Years (Renewable)
স্টুডেন্ট ভিসা
★শিক্ষাগত যোগ্যতা : HSC/ A level/ Diploma Pass
সামনে আরও ওয়ার্ক পারমিট ও টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ভিসার সুযোগ আসছে। যারা সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে চান, নিচের লিঙ্কে রেজিস্ট্রেশন করুন।
রেজিস্ট্রেশন করতে এই লিঙ্কে ক্লিক কুরুন : http://djit.ac/japan_reg/
ফ্রি সেমিনার
Daffodil Japan IT, জাপানিজ ও দেশের স্বনাম ধন্য ড্যাফোডিল গ্রুপের ড্যাফোডিল জাপান আইটি একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। সফলতার সাথে শত শত শিক্ষার্থী ড্যাফোডিল জাপান আইটির মাধ্যমে জাপানে ক্যারিয়ার গড়েছেন। সেই সফলতার ধারাবাহিকতায় আবারও আমরা উচ্চ শিক্ষা ও চাকরি বিষয়ক সেমিনার আয়োজন করেছি। আপনাদের সবাইকে সেমিনারে আমন্ত্রণ। সেমিনারটি সকলের জন্যে উন্মুক্ত।
ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করুনঃ http://djit.ac/japan_reg/
সেমিনারের সময় সূচী
Friday, December 27, 2019|Time:11:00AM
Friday, December 27, 2019|Time:4:00 PM
Saturday, December 28, 2019|Time:4:00 PM
Sunday, December 29, 2019|Time:4:00 PM
রেজিস্ট্রেশন লিংক: http://djit.ac/japan_reg/
সেমিনারের আলোচ্য বিষয়
জব ভিসা সমূহ:
- জাপানে জব ভিসা ও জব ক্যাটাগরি নিয়ে আলোচনা
- জাপানিজ কোম্পানি ও বেতন
- জাপান যেতে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র
স্টুডেন্ট ভিসা সমূহ:
- কত খরচ পড়বে জাপান যেতে – টিউশন ফি এবং অন্যান্য ভিসা প্রসেসিং খরচ
- জাপানে ভর্তি এবং ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সাথে কী কী কাগজপত্র এবং যোগ্যতা লাগবে
- ব্যাংক ব্যাল্যান্স এবং একাউন্ট বিষয়ক বিস্তারিত ধারনা!
- পার্ট-টাইম জব পাওয়া যাবে কিনা, ফুল টাইম জব কিভাবে পাবেন?
- পড়াশুনা শেষে ফুলটাইম জব করার নিশ্চয়তা আছে কিনা, থাকা-খাওয়া, নতুন দেশে টিকে থাকার ধারনা!
- কীভাবে স্থায়ী আবাসন অথবা জাপানের নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে এবং সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের সমস্ত প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর!
রেজিস্ট্রেশন লিংক: http://djit.ac/japan_reg/
যোগাযোগ
Daffodil Japan IT Limited
Union Heights 01, level 8
55-2, West Panthapath, Dhaka.
(Adjacent to Square Hospital)
02-9112280, +8801847140105, +8801847140110 +8801713493282
E-mail : info@djit.ac
Website: http://djit.ac/