রিকশায় মজেছে রাজধানী
- ধ্রুব ব্যানার্জী
মোস্তফা মিয়া, মোহাম্মদপুর হতে ভাড়ায় রিকশা নিয়ে প্রতিদিন ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে দাপিয়ে বেড়ান। করোনার কারণে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনেও রুটি-রুজিতে সামান্যও ভাটা পড়েনি তার। উপরন্তু রমরমা ব্যবসায় গড়পত্তায় ভাড়া হাকাচ্ছেন ট্রিপ প্রতি ২০০ কিংবা ৩০০ টাকা।
চলমান লকডাউনে ঢাকা শহরের অন্যান্য রিকশা চালকদের অবস্থাও ঠিক একইরকম। অন্য প্রায় সকল পেশাই মুখ থুবড়ে পড়লেও বাড়তি ভাড়ায় সুদিনের দেখা পেয়েছেন রিকশা চালকেরা। ঢাকার একপ্রান্ত হতে অন্যপ্রান্তে যাত্রীদের সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা পর্যন্ত গুণতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণের। রিকশা প্রতি সবসময়ের মতো মালিক পক্ষ আদায় করছেন স্থানভেদে ১০০-১৫০ টাকা।
ব্যবসায় সুদিন আসায় ঢাকায় বেড়েছে রিকশা চালকের সংখ্যাও। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, মহাখালী, আবদুল্লাহপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সারি সারি রিকশার ভিড়ে রীতিমত যানজটের সৃষ্টি হয়ছে।
মোহাম্মদপুর তিন রাস্তায় যাত্রীর অপেক্ষায় অপেক্ষারত আলম ফকির নামের এক রিকশা চালক দ্যা প্রমিনেন্টকে বলেন, ‘’আগে ভাড়া মারতাম দিনে ৫০০-৭০০ টাহা। কিন্তু এহন বাইর হইলেই ১০০০-১২০০ টাহার ক্ষ্যাপ মারুন যায়। কিন্তু রাস্তাও চালান লাগে অনেক। এই গরমে শরীর কুলায় না।’’
সুমন আহমেদ নামের এক বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, এমনিতেই গণপরিবহন বন্ধ। তার উপর আবার বাড়তি রিকশা ভাড়া! প্রায় দশ গুণ খরচ হচ্ছে প্রতিদিন। কিন্তু রিকশা গুলো থাকাতে যাওয়া আসা সম্ভব হচ্ছে। নয়তো চাকরি বাঁচানো কষ্ট হয়ে যেত।
অন্যদিকে লকডাউনকে কেন্দ্র করে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং সেনাবাহিনী। অভিযোগ রয়েছে, নিয়মিত টহলে জনসমাগম নিয়ন্ত্রিত রাখতে রিকশা চালকদের উপর চড়াও হচ্ছেন তারা। কিন্তু এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা ইচ্ছে করে কাউকে আঘাত করছি না। জনগণের সুরক্ষার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই চেষ্টা অব্যহত রয়েছে আমাদের।
উল্লেখ্য, মহামারি করোনা ভাইরাসকে ঠেকাতে ঈদের ছুটির ঠিক পরেই ২৩ জুলাই থেকে শুরু হয় ১৪ দিনের সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন। এ বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারা দেশে পুলিশ সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও মাঠপর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ হতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রতিবেদকঃ শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি