৯ মাসে বিমানের আয় ২৭৮ কোটি
নিউজ ডেস্ক: ২০১৪-১৫ অর্থবছরে নয় মাসে বিমানের লাভের পরিমাণ ২৭৮ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
দশম সংসদের অষ্টম অধিবেশনে বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান। কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. সোহরাব উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বিমানের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা ও সেবার মান বাড়াতে বিমান বহরে প্রজন্মের উড়োজাহাজ সংযোজন পরিকল্পনা হিসেবে এরই মধ্যে বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে চারটি ৭৭৭-৩০০ ই আর উড়োজাহাজ কেনা হয়েছে। এছাড়া নভেম্বর-ডিসেম্বরে দুটি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ এবং ২০১৯-২০ সালে চারটি ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ সংগৃহীত হবে। এছাড়া নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ হিসেবে দুটি ৭৭৭-২০০ ইআর দুটি ৭৩৭-৮০০ এবং দুটি ড্যাস ৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজ দীর্ঘ মেয়াদী ভিত্তিতে বিমান বহরে সংযোজিত হয়েছে।
এনামুল হকের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিমান বহরে আধুনিকীরণের অংশ হিসেবে বোয়িং কোম্পানির সাথে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় চারটি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ই আর উড়োজাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ফলে জ্বালানি, উড়োজাহাজ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতের ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। বিমানের অতি পুরান এফ-২৮ ও ডিসি ১০-৩০ উড়োজাহাজ ফেইজ-আউট করা হয়েছে। পুরান দুটি এয়ারবাস এ ৩১০-৩০০ উড়োজাহাজ ২০১৬ সালে ফেইজ আউট করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিমানের রুট পুনর্বিন্যাসহ কতিপয় আন্তর্জাতিক গন্তব্য তথা কুয়ালালামপুর, কলকাতা, ব্যাংকক, ইয়াঙ্গুন, জেদ্দা, দাম্মাম, কুয়েত ও লন্ডনে সাপ্তাহিক ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা সাপেক্ষে শিগগিরই নতুন গন্তব্য যথা গোয়াংজু, কলম্বো, মালে, টোকিওতে বিমান সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।