আমলকির গুণাগুণ

আমলকির গুণাগুণ

রবিউল কমল: আজকাল প্রায় সারা বছরই আমলকি নাগালের মধ্যে পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় এটি বহুকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমলকির ফল থেকে শুরু করে পাতা ও ছাল সবই উপকারি। আসুন আজ জেনেনি আমলকির কিছু গুণের কথা:


  • গবেষণায় দেখা গেছে আমলকিতে বিদ্যমান পলিফেনলস ডায়াবেটিস এবং এর জটিলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • এ ফলের অক্সিডেটিভে রক্তের চিনির পরিমাণ রক্ষা করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
  • খালি পেটে এক চা চামচ আমলকির রস এসিডিটির জন্য খুবই উপকারী।
  • পেট খারাপ হলে আমলকি প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
  • গলা ব্যাথা বা কাশির জন্য আমলকির রসের সাথে কিছু আদা মিশিয়ে পান করলে অল্প সময়ের মধ্যে উপকার পাওয়া যায়।
  • আমলকি খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
  • আমলকি মুখে রুচি ও ক্ষুধা বাড়ায় এবং শরীর ঠাণ্ডা রাখে।
  • আমলকি সর্দি, কাশির জন্যও খুবই উপকারী।
  • বারবার বমি হলে শুকনো আমলকি এককাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘণ্টা দুই পর সেই পানিতে একটু শ্বেত চন্দন ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়।
  • কাঁচা আমলকির পেস্ট চুলে লাগালে চুলের গোড়া শক্ত হয়, চুল ঝরঝরে থাকে এবং রং কালো হয়।
  • আমলকির পেস্ট নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে রাতে ভালো ঘুম হয়।
  • আমলকি ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ যা শরীরে ভিটামিন ‘এ’র অভাব পুরণ করে।
  • এটি ত্বককে তরুণ, প্রাণবন্ত এবং সুদর্শন রাখে।
  • নিয়মিত আমলকি খেলে ব্রণের দাগ দূর হয়।
  • আমলকি লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।

আর একটি তথ্য উল্লেখ করতেই হবে আর তা হল আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকে। এতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে যথাক্রমে ৩ গুণ ও ১০ গুণ, কমলার চেয়ে ১৫-২০ গুণ, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।favicon

Sharing is caring!

Leave a Comment