জিয়ার ‘নেতৃত্বে’ মুক্তিযুদ্ধ, মন্তব্য নোমানের
নিউজ ডেস্ক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো নেতৃত্ব দালিলিকভাবে বলতে পারবেন না, তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বপক্ষে। তাঁরা চেয়েছিলেন একটি নির্বাচন এবং সে নির্বাচনে মেজরিটি নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করা। তার জন্য ভুট্টো ও ইয়াহিয়ার সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান বৈঠকও করেন। কিন্তু বাদ সাধেন জিয়াউর রহমান।’
আজ (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিজয় দিবসের এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন আবদুল্লাহ আল নোমান। বিএনপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান বৈঠক করেছেন কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়। যদি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়, তাহলে যুদ্ধ কোথায়? বাংলাদেশ কোথায়? গঠন তো হয় পাকিস্তান।’
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৩ মার্চ যদি পাকিস্তানের গণপরিষদের পার্লামেন্ট হতো তাহলে লিডার অব দি হাউস হতেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতেন। এটা ছিল সোজা পথ। কিন্তু এতে জিয়াউর রহমান বাদ সাধলেন। এই রাজনৈতিক শূন্যতা দেখে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিলেন। আর তখন ওই আলোচনা বাইপাস হয়ে মুক্তিযুদ্ধে রূপান্তরিত হয়। সে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন জিয়াউর রহমান।’
নোমান বলেন, ‘পাকিস্তানের সামরিক শাসন ও শোষণ এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল না। এর জন্য কোনো দল, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দেয়নি।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন প্রমুখ।