মিষ্টি খাবেন কোন বেলা ?
রবিউল কমল : মুড ভাল না থাকলে, কাজে আলসেমি এলে বা নিছক ক্লান্তি দূর করতে আমরা হালকা কিছু খাই। আর এই হালকা খাবারের মধ্যে মিষ্টি, ডেজার্ট, পেস্ট্রি অনেকের পছন্দের তালিকায় উপরের দিকে থাকে। তবে মিষ্টির প্রতি এই অদম্য আকর্ষণ কিন্তু প্রভাব ফেলতে পারে ঘুমের উপর। বিশেষ করে সূর্য ডোবার পর যদি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হয় আর আপনি সেই ইচ্ছের কাছে আত্মসমর্পণ করেন, তাহলে সে রাতে ঘুম ভাল হবে না! ঘুমের অভাবের ফলে পরের দিন আবার মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে জাগবে। ফলে আবার ঘুমের ব্যাঘাত হবে।
সূর্যাস্তের পর শরীর ‘গাবা’ নামের একটি নিউরোট্রান্সমিটার ব্যবহার করে অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ কমায়। এর ফলে সেরোটোনিন আর ডোপামিন হরমোন ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোন দুইটি উত্তেজনাবোধ কমিয়ে দিয়ে শরীরে এক ধরনের শান্তভাব নিয়ে আসে। তবে চা, কফি বা মিষ্টি খেলে ঘটনা এর উল্টো ঘটে।
এই একই ফর্মুলা চা, কফি জাতীয় উত্তেজক পানীয় বা ‘স্টিমুলেন্ট’-এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে চা, কফির তুলনায় মিষ্টির প্রতি লোভ তৈরি হয় খুব সহজে। সারাদিন শরীরের মেটাবলিক রেট যেমন বেশি থাকে তেমন দৌড়-ঝাপের ফলে ক্যালরি বার্ণও হয় দ্রুত। তাই দিনের বেলা মিষ্টি বা ডেজার্ট চলতেই পারে। তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে।
কিন্তু বিকালের পর থেকে এগুলো এড়িয়ে চলা ভাল। সূর্যাস্তের পর শরীর ‘গাবা’ নামের একটি নিউরোট্রান্সমিটার ব্যবহার করে অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ কমায়। এর ফলে সেরোটোনিন আর ডোপামিন হরমোন ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোন দুইটি উত্তেজনাবোধ কমিয়ে দিয়ে শরীরে এক ধরনের শান্তভাব নিয়ে আসে। তবে চা, কফি বা মিষ্টি খেলে ঘটনা এর উল্টো ঘটে। ফলে একদিকে যেমন ওজন বাড়ে দ্রুত, অন্যদিকে তেমনি রাতে ঘুমিয়েও শান্তি পাওয়া যায় না। ঘুম না হলে ‘গাবা’-এর প্রভাব অনেকটা কমে যেতে শুরু করে এবং অ্যাংজাইটি ও ডিপ্রেশন বাড়তে থাকে।
মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে কিন্তু ডিপ্রেশন থেকেও হতে পারে। বেশি রাতে মিষ্টি খেলে অনেকেই সে রাতে দুঃস্বপ্ন দেখতে পারেন। তাই মিষ্টি বা ডেজার্ট জাতীয় খাবার খাওয়ার আদর্শ সময় বিকাল চারটা পর্যন্ত। চা, কফিও এই সময়ের মধ্যে খান। তাহলে রাতে ভাল ঘুম হবে আবার ওজনও নিজের আয়ত্বে থাকবে।