ক্যারিয়ার গড়ার ক্লাব
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
সময়টা এখন প্রতিযোগিতার। ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, উচ্চ শিক্ষা, পড়াশোনা, ক্যারিয়ারসহ সব ক্ষেত্রেই রয়েছে তীব্র প্রতিযোগিতা। আর এ প্রতিযোগিতার বিশ্বে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে ও সফল হতে চাই সঠিক পরিকল্পনা, দিক-নির্দেশনা ও যথাযথ প্রস্তুতি। এসব কথা চিন্তা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী উন্নত ক্যারিয়ার গঠনের প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব (জেএনইউসিসি)। সময়টা ছিল ২০১১ সালের পহেলা জুন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই একাডেমিক পড়াশোনা ঠিক রেখে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করার কাজে আসছে এ ক্লাবটি।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আমিন জানান, শিক্ষার্থীদের উন্নত ক্যারিয়ার গঠনের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরণের প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকি। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার নির্দেশনা, নেতৃত্ব উন্নয়ন কর্মশালা, ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ, ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল, দিনব্যাপী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, পাবলিক স্পিকিং, কুইজ প্রতিযোগিতা, জীবন বৃত্তান্ত লেখা, বিজনেস কম্পিটিশন, সার্টিফিকেশন কোর্স, উন্নত যোগাযোগ প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ধরণের সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ক্লাবে কিভাবে সদস্য সংগ্রহ করা হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে ক্লাবের পরিচালক খাইরুল ইসলাম বলেন, বছরে একবার আমরা সদস্য আহ্বান করি। সেখানে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থী আবেদন করে। আবেদনকারীদের বহু নির্বাচনী, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। এ পরীক্ষায় ভালো ফলাফলকারীদেরকে বিশেষ সদস্যপদ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে তাদেরকে ১ বছরব্যাপী লেডারশীপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (নেতৃত্ব উন্নয়ন কর্মশালা) করানো হয়। আর তাদের মধ্যে থেকে যারা ভালো দক্ষতা ও আগ্রহ দেখায় তাদেরকে নির্বাহী সদস্য হিসেবে কমিটিতে নেয়া হয়। খাইরুল ইসলামের কথার সাথে যুক্ত করেন ক্লাবের সহ-সভাপতি মিনহাজুল হক। তিনি বলেন, যারা সদস্য বাছাই পরীক্ষায় ভালো করতে পারেনা তাদেরকে আমরা হতাশ করি না। তাদেরকে ক্লাবের সাধারণ সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকি।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, চাকরির বাজারে নিজেকে যোগ্য প্রতিযোগী হিসেবে তৈরি করতে নানা কৌশল ও প্রশিক্ষণের সুযোগ পাই ক্লাবের বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ও সেমিনার থেকে। ফলে নিজের আত্নবিশ্বাসের জায়গাটা ও দিনদিন বাড়ছে।
ক্লাব সভাপতি শাহিন আলম বলেন, ক্লাবের সদস্যদের উত্সাহ দেয়ার জন্য আমরা প্রতি বছর সদস্যদের মধ্যে যারা নিজেদের দক্ষতা বেশি দেখাতে পারে ও ক্লাবের প্রতি বেশি আন্তরিক এমন ২ জনকে সেরা সদস্য নির্বাচিত করে তাদেরকে পুরষ্কৃত করি। ক্লাবের ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? জানতে চাইলে শাহিন আলম বলেন, দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব সংগঠনের সাথে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইয়ুথ সামিটের আয়োজন করা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে উন্নত ক্যারিয়ার গঠনের সঠিক দিক-নির্দেশনা। তারা নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করে আকাশ ছোয়ার দুরন্ত স্বপ্ন দেখছে। প্রতিযোগিতার এ বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তারা নানা কৌশলে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করছে। হয়ত এ স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসবে আগামীর কোনো বিশ্বনেতা।