নির্ধারিত সময়ের আগেই সেই ৩ শিক্ষার্থী পেলেন বিনামূল্যে ল্যাপটপ
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
নির্ধারিত সময়ের আগেই তিন শিক্ষার্থীর হাতে ‘একজন শিক্ষার্থী একটি ল্যাপটপ’ কর্মসূচির আওতাধীন বিনামূল্যের ল্যাপটপ তুলে দিয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম তাদের হাতে ডিসিএল ব্র্যান্ডের তিনটি ল্যাপটপ তুলে দেন। শিক্ষার্থী তিনজন হলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী খাদিজা খালিদ খুশবু, ইলমা আক্তার স্বর্ণা ও ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মো. বোরহান উদ্দিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু, ‘একজন শিক্ষার্থী একটি ল্যাপটপ’ কর্মসূচির সমন্বয়ক মো. আরিফ প্রমুখ।
এর আগে গত ২০ মে এই তিন শিক্ষার্থীর হাতে অভিভাবক বীমার চেক হস্তান্তর করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই তিন শিক্ষার্থীর বাবা পরলোকগমন করেছেন। সঙ্গতকারণে অভিভাবকশূণ্য হয়ে তাদের শিক্ষাজীন হুমকির মুখে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই তিন শিক্ষার্থীকে অভিভাবক বীমা প্রদান করে যাতে তাদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত থাকে। পাশাপাশি তাদের শিক্ষাজীবনকে আরও নির্বিঘ্ন করতে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কর্মসূচী ‘একজন শিক্ষার্থী একটি ল্যাপটপ’ এর আওতাধীন বিনামূল্যের ল্যাপটপও প্রদান করলো।
তিন শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেওয়ার পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, সাধারণত পঞ্চম সেমিস্টার সম্পন্ন করার পর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে একটি করে ডিসিএল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ পেয়ে থাকে। এই তিন শিক্ষার্থী মাত্রই দ্বিতীয় সেমিস্টারে পড়ছে, তারপরর তাদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হলো যাতে তাদের শিক্ষাজীবন নির্বিঘ্ন হয়।
উপাচার্য আরো বলেন, হঠাৎ কোনো শিক্ষার্থীর বাবা, মা কিংবা অন্য কোনো বৈধ অভিভাবক মৃত্যুবরণ করলেও তাদের পড়ালেখা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্সের সঙ্গে অভিভাক বীমা চালু করেছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২০ মে এই তিন শিক্ষার্থীকে অভিভাবক বীমার চেক হস্তান্তর করার পর এবার তাদেরকে ল্যাপটপও প্রদন করা হলো।
ল্যাপটপ পেয়ে তিন শিক্ষার্থীই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা বলেন, আমরা অভিভাবক হারিয়ে অথই সমুদ্রে পড়েছিলাম। পড়ালেখা বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল। এ অবস্থায় আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা চিরকৃতজ্ঞ ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি।