ডিআইইউডিসি বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন বুয়েট
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিতর্ক ক্লাব (ডিআইইউডিসি) ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সম্প্রীতি প্রকল্পের সহযোগিতায় ‘ডিআইইউডিসি বিতর্ক মহাপার্বন ১৪২৬’ এর চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) দল এবং রানার আপ হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ দল। শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থী ইফতু। অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার প্রধান অতিথি এবং জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়াও এই বিতর্কের আঞ্চলিক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মানিকগঞ্জ সরকারি কলেজ ও রানার আপ হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়। এই পর্বে সেরা বিতার্কিক হয়েছেন মানিকগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ঋতু। অপরদিকে নবীন বিতর্ক দল পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং রানার আপ হয়েছে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ। সেরা বিতার্কিক হয়েছেন ঋদ্ধি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ এম এম হামিদুর রহমান, সহযোগী ডিন ও ডিআইইউডিসির মডারেটর অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সম্প্রীতি প্রকল্পের সমন্বয়ক রেজওয়ান রহমান ও শাহজাদী আক্তার, ডিআইইউ এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি জিয়াউল হক সুমন, ডিআইইউডিসির সভাপতি আল মুকিতুল বারী, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সীমান্ত প্রমুখ।
‘পারস্পরিক সহনশীলতা ও সম্প্রীতির বন্ধন বিতর্ক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রায় ছয় মাস আগে শুরু হয়েছিল ‘ডিআইইউডিসি বিতর্ক মহাপার্বন ১৪২৬’। ছয় মাস ধরে ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আজ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো এর সমাপনী পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার পর মুস্তাফা মনোয়ার বলেন, সমাজের সর্বত্র বিভাজন বাড়ছে। বিশেষ করে ধর্মীয় বিভাজন প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে। এটা কাম্য নয়। আমরা সবাই এক পৃথিবীর বাসিন্দা,সুতরাং মানুষে মানুষে বিভাজন থাকা উচিত নয়। এসময় তিনি বলেন, বিভাজন তৈরি হচ্ছে প্রকৃত জ্ঞানের অভাব থেকে। বিতর্ক মানুষকে যুক্তি তর্কের মাধ্যমে প্রকৃত জ্ঞানের সন্ধান দেয়। তাই তরুণদেরকে বিতর্কের প্রতি আগ্রহী হতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইমদাদুল হক মিলন তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিতর্ক একটি শিল্প। এই শিল্পীদের উচ্চারণ, বাচনভঙ্গি, উপস্থাপন কৌশল ইত্যাদির দিকে নজর দিতে হয়। যুক্তির মাধ্যমে কোনো বিষয়কে বুঝিয়ে বলতে হয়। এজন্য বিতার্কিকদেরকে অন্যদের চেয়ে আলাদা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইমদাদুল হক মিলন বলেন, তরুণদের হাত ধরেই এ দেশের মহৎ সব অর্জন সম্ভব হয়েছে। ৫২, ৬৯ এবং ৭১ সালের মহান মুক্তযুদ্ধে তরুণদের অসামান্য অবদান রয়েছে। বলা যায় তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আগামীর বাংলাদেশও এই তরুণদের হাত ধরে উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।