দুই হাজার শিক্ষার্থী পেলেন বিনামূল্যে ল্যাপটপ!
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারার সাথে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে তুলতে এবং প্রতিযোগীতামূলক চাকরি বাজারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’ প্রকল্পের নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ আশুলিয়ার স্থায়ী ক্যাম্পাসে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ২০০০টি ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহাবুব-উল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক ও প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডীন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. সৈয়দ আকতার হোসেন, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ড. এ বি এম কামাল পাশা। ল্যাপটপ প্রদানের পূর্বে অধাপক ড. এম লুৎফর রহমান একাডেমিক ও শিক্ষা কার্যক্রমে ল্যাপটপের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান।
উল্লেখ্য, সামার-২০১০ সেমিস্টার থেকে ‘ওয়ান স্টুডেন্ট : ওয়ান ল্যাপটপ’ কর্মসূচীর আওতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তিকৃত সকল শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে ল্যপটপ প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ স্প্রিং ২০১৮ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া ২০০০ শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেয়া হল। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট বার হাজার শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ল্যাপটপ প্রদান করা হলো।
প্রধান অতিথির বক্তবে অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান বলেন, প্রযুক্তি আজ শিক্ষা গ্রহণ ও প্রদানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণের উদ্যোগ একটি সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ। তিনি শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম ঘোষনাই ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং সে লক্ষ্য পূরণে সরকার সফল হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মেকে প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ করে বাস্তব ও কর্মমুখী জীবনে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সহজে সমাধান করতে উপযোগী করে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রাত্যহিক জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে শিক্ষা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের পাশাপাশি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিচালিত বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আত্মত্যাগ করেছিলেন বর্তমান প্রজন্মের উচিত নিজেদেরকে সেভাবে প্রস্ফুটিত করে বাংলাদেশকে একটি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলে নিজেদের যোগ্যতা প্রমান করা।