ড্যাফোডিলে জাতীয় শোক দিবস পালিত
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ১৫ই আগস্ট মহান জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে আজ ১৪ আগস্ট ২০১৮ বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহবুব-উল হক মজুমদার, ট্রেজারার হামিদুল হক খান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এ কে এম ফজলুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান এবং দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা হাবিবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওয়ালিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করতে হবে এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। যে আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য বঙ্গবন্ধু সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন এবং শেষ পর্যন্ত নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন সেই আদর্শ আজও বাস্তবায়িত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম আজও শেষ হয়নি। তাই বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে হলে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন এই প্রবীণ কুটনীতিক।
নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই করে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। সেই পাকিস্তান এখন সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তাদের রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলার, আর বাংলাদেশের রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলার। তাদের রপ্তানি আয় ২০ বিলিয়ন ডলার অপরদিকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এসব পরিসংখ্যানই বলে দেয় আমরা পাকিস্তানের কাছ থেকে মুক্ত হয়ে অনেক ভালো আছি। আমরা ইতিমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরো আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতো বলে মন্তব্য করেন ওয়ালিউর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদো বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ৬ জনের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। বাংলার মাটিতে তাদেরও বিচার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সাবেক এই কুটনীতিক।
অনুষ্ঠানে ১৯৭৫সালের ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মহান আল্লাহতালার দরবারে দোয়া প্রার্থনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডীন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।