ইবিতে ৮৪টি কম্পিউটার বিতরণ
- শাহজাহান নবীন, কুষ্টিয়া
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৮৪টি কম্পিউটার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। পোস্ট গ্রাজুয়েটস ডিপ্লোমা (পিজিডি) ইন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) প্রজেক্টের এই ৮৪টি কম্পিউটার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ, অনুষদ ও বিভিন্ন অফিসের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে গতকাল (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে অবস্থিত পিজিডি ইন আইসিটি প্রজেক্টের অফিস থেকে কম্পিউটারগুলো হস্তান্তর করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পোস্ট গ্রাজুয়েটস ডিপ্লোমা (পিজিডি) ইন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) প্রজেক্টের আওতায় ২০০৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কোর্স চালু হয়। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর ৩য় ও ৪র্থ তলায় করা হয় ওই কোর্সের অফিস। ২০১২ সালে প্রজেক্ট শেষে এর যাবতীয় সম্পদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে আসে। দীর্ঘ ৩ বছর ধরে এ প্রজেক্টের ১০০টি কম্পিউটার অব্যবহৃতভাবে পড়েছিল। ব্যবহার না হওয়ায় এসব কম্পিউটার নষ্ট হয়ে যেতে পারে, উপযোগহীন হতে পারে বলে সেগুলোর সংস্কার ও পূনর্ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ আসকারীকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আহবাহক কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সংস্কার শেষে সাবেক পিজিডি প্রজেক্টের ১০০টি কম্পিউটারের মধ্যে ৮৪টি কম্পিউটার ব্যবহার উপযোগী নিশ্চিত করে। দীর্ঘ এক বছর পর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার অব্যবহৃত কম্পিউটারগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিভাগ, অনুষদ ও বিভিন্ন অফিসে প্রদান করতে অনুমতি দেন।
গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে কম্পিউটারগুলো বিভাগ, অনুষদ ও বিভিন্ন অফিসের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদেরকে কাছে বিরতণ শুরু হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ আসকারী, প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, কম্পিউটার সেন্টার পরিচালক প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, পিজিডি ইন আইসিটি কোর্সের তৎকালীন কো-অরডিনেটোর প্রফেসর ড. মমতাজুল ইসলাম প্রমূখ।
পিজিডি ইন আইসিটি কোর্সের তৎকালীন সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. মমতাজুল ইসলাম বলেন, ৩ বছরের জন্য এই প্রজেক্টটি চালু হয়েছিল। সময় শেষে এটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্রশাসন চাইলে এটিকে ইনস্টিটিউট করা সম্ভব হতো।
কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ আশকারী বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো রিসোর্স যাতে অব্যবহারজনিত কারণে নষ্ট না হয়ে যায়, উপযোগহীন না হয়ে পড়ে সেজন্য উপচার্য মহোদয়ের অনুমতিক্রমেই এগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ এবং অফিসগুলোতে পাঠানো হয়েছে।’