বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ এখন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে
- তাজবিদুল ইসলাম, গণ বিশ্ববিদ্যালয় ( সাভার ) :
মানোএল দা আসসুম্পসাওঁ রচিত বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ কৃপাশাস্ত্রের অর্থভেদ ও ভোকাবুলারি অব বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যন্ড পর্তুগীজসহ তিনটি দুলর্ভ বই এখন পাওয়া যাবে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে। পর্তুগালের লিসবন শহরের জাতীয় গ্রন্থগার থেকে দুর্লভ বই তিনটি সংগ্রহ করে এনেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক মাহমুদ শাহ কোরেশী।
গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত ইংল্যান্ড, পর্তুগাল ও ফ্রান্সে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উপাদান শীর্ষক সেমিনারে বই তিনটি সংগ্রহের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন অধ্যাপক কোরেশী। এসময় তিনি জানান, ১৭৩৫ খ্রিষ্টাব্দে গাজীপুর জেলার ভাওয়াল পরগনার নাগরীতে অবস্থানকালে কৃপাশাস্ত্রের অর্থভেদ বইটি রচনা করেন মানোএল দা আসসুম্পসাওঁ। পর্তুগালের লিসবন শহরের একটি মুদ্রণালয়ে ১৭৪৩ খ্রিষ্টাব্দে গ্রন্থটি মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। ৫৯২ পৃষ্ঠার বইয়ের ফটোকপিটি এখন পুনরায় মুদ্রণ করে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। তিনি বলেন- বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে বিদেশী ভাষা ও সংস্কৃতির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের বাংলা ভাষার আধুনিক রূপান্তর কীভাবে হলো তা জানতে এই দুর্লভ বইগুলো সহায়ক হবে।
সেমিনারে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক রফিকুন মুনীর চৌধুরী, বাংলা ভাষায় আরবী ফার্সী তুর্কী হিন্দী উর্দু শব্দের অভিধান প্রণেতা অধ্যাপক কাজী রফিকুল হক, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনসুর মুসা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আতাউর রহমান খান ও বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রাহমান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মেসবাহউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মো. দেলওয়ার হোসেন, রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন, ভৌত ও গাণিতিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. হাসিন অনুপমা আজহারী, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক লায়লা পারভীন বানু, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলীসহ বিভাগীয় প্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।