নিজেদের কর্মীকে পেটাল ছাত্রলীগ
- শাহজাহান নবীন, কুষ্টিয়া
পুর্ব শত্রুতার জের ধরে এবার দলীয়কর্মীকে পেটালো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীরা। শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহীনের কর্মীরা জাহিদুল ইসলাম জিহাদ নামের কর্মীকে মারধর করে। আজ (১২ এপ্রিল) বেলা ১২ টারদিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার পর শাহীন ও তার সহযোগীদের খুঁজতে গিয়ে প্রক্টর অফিসে ভাংচুর চালায় ছাত্রলীগের শৈলকূপা গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগের শৈলকুপা (ক্যাম্পাস পার্শবর্তী থানা) গ্রুপের কর্মী ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম জিহাদকে মারধর করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন সমর্থক কর্মীরা। আজ দুপুর ১২ টার দিকে শাহিনের নেতৃত্বে গোলাম মোস্তফা, রিজভী, মেহেদীসহ ৮/১০ জন ছাত্র লীগকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে জিহাদকে মারধর করেন। এ ঘটনার পরে শৈলকুপা গ্রুপের নেতা-কর্মীরা একত্রিত হয়ে শাহীন ও তার সহযোগীদেরকে মারার জন্য খুঁজতে থাকেন। এ সময় শাহিন ও তার সহযোগীরা অনুষদ ভবনে অবস্থিত প্রক্টর অফিসে আশ্রয় নেন। এ খবর শুনে শৈলকুপা গ্রুপের হাফিজের নেতৃত্বে নওশাদ, কবির, সুমন, নাজমুলসহ ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী প্রক্টর অফিসে শাহিনকে না পেয়ে ভাংচুর চালান। এ সময় পুরো অনুষদ ভবনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বেলা ১২টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অমিতকুমার দাশসহ নেতাকর্মীরা এসে তাদেরকে শান্ত করেন। এছাড়া মীমাংসা করার জন্য উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদর নিয়ে দুপুর ২ টার দিকে বৈঠকে বসেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন-‘ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেছি। তবে একটি পক্ষ সমঝোতা মেনে না নেওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখনো সমঝোতার চেষ্টা চলছে। আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান বলেন-‘ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আমার অফিসে অবস্থান করছিল। এ সময় অন্য একটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদেরকে না পেয়ে অফিসে ভাংচুর চালায় বলে কর্মকর্তারা আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।’