কাল থেকে ইবিতে ক্লাস বর্জন
- শাহজাহান নবীন, কুষ্টিয়া
শিক্ষকদের দাবি মেনে না নেওয়ায় ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। আগামীকাল (১৭ এপ্রিল) থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ক্লাস বর্জন চলবে। আজ নির্বাহী কমিটির সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন তারা। এদিকে ক্লাস বর্জনের ফলে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে অনেকের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শিক্ষক সমিতির অফিস সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা থেকে প্রস্তাবিত দাবি সমূহ যথাসময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা ক্লাস বর্জনের কর্মসূচী পালন করবেন। শিক্ষকদের সাথে কর্মকর্তাদের অসৌজন্যমুলক আচরণের ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের বিচার, শিক্ষকদের আপগ্রেডিংয়ের সময়সীমা কমানোসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বেশ কয়েকটি দাবি জানায় শিক্ষক সমিতি।
দাবি আদায়ে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দেওয়ার পরও যথাসময়ে প্রশাসন শিক্ষকদের দাবি পুরণ করতে পারেনি বলে জানা গেছে। পরে উপাচার্যের অনুরোধে আরো এক সপ্তাহ সময় বাড়ায় শিক্ষক সমিতি। গত ১৩ এপ্রিল বর্ধিত সময়সীমা শেষ হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষকদের দাবি পুরণের ব্যাপারে কার্যকর ভুমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। ফলে দাবি আদায় না হওয়ায় রবিবার থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরণের ক্লাস বর্জনের কর্মসূচী ঘোষণা করে সমিতি। শনিবার সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় তারা। তবে ক্লাস বন্ধ থাকলেও সকল বিভাগের পূর্ব ঘোষিত চুড়ান্ত পরীক্ষা সমূহ কর্মসূচীর আওতামুক্ত থাকবে বলে জানা গেছে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. অলী উল্ল্যাহ বলেন-‘শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষে প্রশাসনকে নানাভাবে অনুরোধ করেছি। প্রশাসন শিক্ষকদের দাবি পুরণের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন-‘দাবি পুরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে। কার্যত তারা এ ব্যাপারে উদাসীনতা প্রকাশ করছেন বলে মনে হয়েছে। এভাবে আর কতদিন চলতে পারে? ২২ এপ্রিলের মধ্যে দাবি আদায় না হলে শিক্ষক সমিতি ক্লাস-পরীক্ষাসহ অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সব ধরণের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে। প্রয়োজনে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়া হবে।’