ইবির দুই কর্মকর্তা বহিস্কার
- শাহজাহান নবীন, কুষ্টিয়া
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উপর প্রোভিসিপন্থীদের হামলার ঘটনায় দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। এঘটনার সুষ্ঠ বিচারের স্বার্থে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও এস্টেট শাখার উপ-রেজিস্ট্রার হারুণ অর রশিদ বাদী হয়ে ইবি থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
রেজিষ্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তাদের উপর হামলা ও অফিস ভাংচুরের ঘটনায় ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকারের নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. রুহুল এবং কে এম সালেহকে আহ্বায়ক করে ৫ সসদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়া হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে প্রোভিসি অফিসের সহকারী রেজিষ্ট্রার আব্দুল হান্নান ও ট্রেজারার অফিসের সহকারী রেজিষ্ট্রার আলমগীর হোসেন খানকে সাময়িক বহিস্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। বহিস্কৃত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর আগেও শিক্ষকদের উপর দুই দফায় হামলার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে আওয়ামীপন্থী সংগঠন শাপলা ফোরাম ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০/২২ জনকে আসামী করে ইবি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। একই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার উপ-রেজিষ্ট্রার হারুণ-অর-রশিদ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোর্শেদ বাদী হয়ে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেছে। ইবি থানা ও কুষ্টিয়া দায়রা আদালত সূত্রে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। হামলার কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- প্রফেসর ড. এম এয়াকুব আলী, প্রফেসর ড. ইকবাল হোসাইন, প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল ও এস্টেট শাখার উপ-রেজিষ্ট্রার হারুন-উর রশিদ। আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
রেজিষ্ট্রার এস এম আব্দল লতিফ বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উপর হামলার ঘটনায় উপাচার্য মহোদয়ের আদেশ অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ পাওয়ায় দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির চুড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’