ক্যাম্পাসে ক্যারিয়ার আড্ডা
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ক্যাম্পাসে আড্ডার আলোচনা বেশিরভাগই হয় ক্যারিয়ারভিত্তিক। তবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ গঠনমূলক আলোচনাও হয়। অনেক সময় হাস্যরসের আড্ডাও হয়। আড্ডার মাধ্যমে জানাশোনার পরিধিকে প্রসারিত করা যায়। আড্ডা হলো জীবনের একটা অংশ। আড্ডা ছাড়া ক্যাম্পাস জীবন অচল-অসার। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আড্ডা নিয়েই এবারের আয়োজন।
মার্কেটিং বিভাগের ছাত্রী রেবেকা জান্নাত। আড্ডা নিয়ে জান্নাত বলেন, ‘ফুরফুরে মেজাজের আড্ডায় সর্বদা মুখরিত থাকে ক্যাম্পাস। আড্ডা আর পড়াশুনায় ব্যস্ত থাকে সবাই। তবে যার-তার সাথে আড্ডা দিতে ভালো লাগে না। প্রিয় মানুষের সাথেই আড্ডা দেই। চেনা মুখগুলোর সাথে আড্ডা দিতেই বেশি মজা।’
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমের ছাত্র তমাল হাসান বলেন, ‘সারাদিন আড্ডা দিতে ভালো লাগে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি আড্ডা দেই আমরা। ৬টা বাজতে গেল। বুঝতেই তো পারছেন আড্ডা কত মজার হতে পারে। আড্ডায় জড়িয়ে অনেকেই খুঁজে পেয়েছেন নতুন বন্ধু। কেউবা মনের মানুষ। আর আড্ডা অনেককে করে তুলছে আত্মবিশ্বাসী।’
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমের ছাত্রী তামান্না বলেন, ‘আড্ডায় থাকলে মনে হয় আছি পরিবারের সাথেই। আড্ডার কারণেই ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে ওঠে প্রাণের মেলায়। আড্ডায় না আসতে পারলে অস্থির লাগে। আড্ডার ফাঁকে চলে চায়ের কাপে চুমুক। কেউবা গিটার হাতে বসে যান। শুধু সমবয়সী না, বয়সে বড়দের সঙ্গেও আড্ডা জমে ওঠে।’
একই বিভাগের আদনান বলেন, ‘সামাজিক, রাজনৈতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে নতুন ধারণা নেয়া থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কিছুই উঠে আসে আড্ডায়। পক্ষে-বিপক্ষে চলে আলোচনা। আড্ডা মানে অফুরন্ত আনন্দ। আড্ডা ছাড়া ক্যাম্পাসের কথা কল্পনাও করা যায় না।’
ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্রী আমিনা বলেন, ‘আড্ডার মাধ্যমে জানা-শুনার পরিধি বাড়ে। ক্যাম্পাসে আড্ডা মানে প্রাণ খুলে কথা বলা। আড্ডা মানে হাসি মুখ। আড্ডা মানে দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে নেয়া। আড্ডা ছাড়া ক্যাম্পাস জীবন অচল।’
মার্কেটিং বিভাগের ইলিয়াছ সরকার বলেন, ‘সকালে-দুপুরে আড্ডা। ক্লাসের ফাঁকে আড্ডা। স্যার ক্লাসে না এলে তো সবাই মহাখুশি। ক্লাসে কিংবা বাহিরে এসে সবাই মিলে চলে জম্পেশ আড্ডা। এভাবেই কেটে যায় ক্যাম্পাসের স্বপ্নের দিনগুলো।’
মার্কেটিং বিভাগের আরেক ছাত্র মনির বলেন, ‘ক্যাম্পাসের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে আমার পা পড়েনি। ক্যাম্পাসে আসলেই আমাদের মন ভালো হয়ে যায়। ক্যাম্পাস আমাদের কাছে মন ভালো করার ট্যাবলেট বলতে পারেন!’ একথা বলেই হাসতে লাগলেন।
অ্যাকাউন্টিং এর ছাত্র আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থাকবে অথচ আড্ডা হবে না এটা ভাবাই যায় না। যে ক্যাম্পাসে আড্ডা নেই সেটি আসলে কোন ক্যাম্পাসই না। মনের যাবতীয় সুখ কিংবা দুঃখ একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করে মনকে হালকা করার এক অনন্য মাধ্যম এ আড্ডা। আড্ডা বিনোদনের এক চমত্কার মাধ্যম। বিভিন্ন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার একটা অনুশীলন হয় আড্ডার মাধ্যমে।’