নর্থ সাউথে আইডিয়া জেনারেশন কম্পিটিশন
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
শুধু পড়াশোনার মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ না রেখে অসহায় মানুষের পাশে আশার আলো হয়ে দাঁড়াচ্ছে একদল শিক্ষার্থী। এখানেই শেষ নয়, তারা সমাজের সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়, সে লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করছে ইনোভেটিভ আইডিয়া জেনারেশন কম্পিটিশন। আর এই সংগঠনটির নাম নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব। সম্প্রতি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব আয়োজন করল সোসিও ক্যাম্প-৭ এর। মাসব্যাপী চলা এই সোসিও ক্যাম্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে।
সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৭৩টি টিম অংশগ্রহণ করে এই প্রতিযোগিতায়। এই ৪৭৩টি টিমকে নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর প্রথম রাউন্ডের ওয়ার্কশপ করা হয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে। যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশনকৃত ৪৭৩টি দল থেকে ২ জন করে প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এই ওয়ার্কশপে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিযোগিতার নীতিনির্ধারকসহ ক্লাবের সব মেম্বার। তারপর তাদের একটি সামাজিক সমস্যার ওপর কেস দেওয়া হয় এবং সেটি সোসিও ক্যাম্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সাবমিট করতে বলা হয় ৫ দিনের মধ্যে। সেখান থেকে ৩০টি টিম বাছাই করা হয় দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য। দ্বিতীয় রাউন্ডের আগে এই ৩০টি টিম নিয়ে একটি ওয়ার্কশপ হয় ৬ নভেম্বর রাজধানীর সিক্স সিজন্স হোটেলে।
কম্পিটিশন সম্পর্কে জানতে কথা হয় ক্লাবটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ মুজতবা সিদ্দিকীর সঙ্গে। এ সময় তিনি জানান, তরুণদের মধ্যে আছে অনেক প্রতিভা। সঠিক পল্গ্যাটফর্মের অভাবে তারা সেই চিন্তা-ভাবনা কাজে লাগাতে পারেন না। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের সেই ধারণা কাজে লাগিয়ে পরিবর্তনের ভাবনায় যুক্ত করতে ‘সোসিও ক্যাম্প’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ২০ নভেম্বর সোসিও ক্যাম্প-৭ এর ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। ৪৭৩টি দলের মধ্য থেকে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয় পাঁচটি দল। সেই পাঁচটি দল বিচারকদের সামনে তাদের টপিক প্রেজেন্টশন দেয়। সেই পাঁচজন থেকে তিনজন নির্বাচন করা হয়।
প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ‘টিম হোল্ড’, দ্বিতীয় হয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে পেপার প্লেনেস এবং তৃতীয় হয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে নাইন ওয়ান ওয়ান। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলকে দেওয়া হয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে দেওয়া হয় যথাক্রমে ৭০ হাজার ও ৪০ হাজার টাকা। প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম।