মহাকাশ নিয়ে অ্যাপ তৈরির প্রশিক্ষণ
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
সারা বিশ্ব থেকে মহাকাশ বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা প্রতিবছর স্মার্টফোনের জন্য অ্যাপলিকেশন (অ্যাপ) তৈরির প্রতিযোগিতা ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’ আয়োজন করে। বাংলাদেশে প্রতিযোগিতাটির স্থানীয় পর্ব আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। দিকনির্দেশনার অভাবে প্রতিযোগীদের সম্ভাবনাময় প্রকল্পগুলো অসম্পূর্ণ যেন না থাকে, সেই লক্ষ্যে ‘স্পেস অ্যাপস প্রজেক্ট অ্যাকসিলারেটর’ নামের ছয় মাসের নির্দেশনামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে বেসিস ও স্পেস অ্যাপস বাংলাদেশ।
আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেসিস মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় হয়তো পাঁচটি দল বিজয়ী হবে, তবে এই প্রতিযোগিতা সামনে রেখে যে ৫০০ দল প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্বমানের অ্যাপ তৈরির সক্ষমতা অর্জন করে, সেটাই আমাদের জন্য বড় পাওয়া।’
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিশুদের প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ হয়েছে কিন্তু সেখানে বেসিস নেই, এমন বিষয় খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আয়োজনের একাডেমিক পার্টনার ও ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান, স্পেস অ্যাপস বাংলাদেশের প্রধান আরিফুল হাসান, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাসেল টি আহমেদসহ অনেকে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করে প্রাথমিকভাবে সারা দেশ থেকে সেরা চারটি দলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হবে এই কার্যক্রম। পরবর্তী সময়ে সারা দেশের সম্প্রসারণ করা হবে। স্পেস অ্যাপস প্রজেক্ট অ্যাকসিলারেটরে যারা তাদের প্রকল্প যুক্ত করতে আগ্রহী, তাদের ৩১ আগস্টের মধ্যে স্পেস অ্যাপস বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে http://spaceappsbd.org নিবন্ধন করতে হবে।
স্পেস অ্যাপস প্রজেক্ট অ্যাকসিলারেটরের সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে স্টুডেন্ট ইনোভেশন ফোরাম। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রিজম ইআরপি।