মেডিকেলে ভর্তি : ৪৮ ঘণ্টায় ৫৩ হাজারের বেশি আবেদন
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদনের হিড়িক শুরু হয়েছে। গত বুধবার (৩১ আগস্ট) দুুপুর ১২টা থেকে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০১৬ ও ২০১৭) ভর্তির আবেদনপত্র অনলাইনে গ্রহণ শুরু হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৪৮ ঘণ্টায় রেকর্ডসংখ্যক ৫৩ হাজারের বেশি অর্থাৎ প্রতি মিনিটে ১৮টি করে আবেদন জমা পড়ে। প্রথম ঘণ্টায় ১৫ হাজার ও সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ২২ হাজার আবেদনপত্র জমা হয়। একসঙ্গে হাজারো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করায় একপর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সার্ভার হ্যাং হয়ে যায়। পরবর্তীতে ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ রেখে মেরামতের পর সার্ভার খুলে দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) শনিবার দুপুরে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্বল্পতম সময়ে ৫৩ হাজার আবেদন জমা হওয়ার রেকর্ড স্বাস্থ্য অধিদফতরে আছে বলে জানা নেই। শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে অনলাইনে প্রবেশ করায় সার্ভার হ্যাং হয়ে যায়। বিগত ছয় বছরেরও বেশি সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে, একইদিন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসলেও চলতি বছর মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্যান্য বছর মোট ২৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এবার কেন্দ্রের সংখ্যা ৭টি কমিয়ে ১৬টি করা হয়। এসব কেন্দ্রের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক আবেদন গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। কেন্দ্রগুলোতে মোট ৯০ হাজার পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। ১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে সর্বোচ্চ ১০ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন। ১০ হাজারের কোটা পূরণ হলে অন্য মেডিকেল কলেজের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য পরীক্ষা কেন্দ্র ও আবেদনপত্রের সংখ্যানুসারে স্যার সলিমুল্লাহ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ৭ হাজার করে, সিলেট এমএজি, বরিশাল শেরেবাংলা, কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের প্রতিটিতে ৫ হাজার করে, পাবনা ও শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের প্রতিটিতে দুই হাজার ও ডেন্টাল কলেজে ৬ হাজার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে।
কেন্দ্রের সংখ্যা কমিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবদুর রশীদ বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পাদনের লক্ষ্যে কেন্দ্রের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। যে ৭টি কেন্দ্র বাদ দেয়া হয়েছে সেগুলোতে এমনিতেই স্বল্প সংখ্যক পরীক্ষার্থী হতো।