ভালো জিপিএ কে না চায়!
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ভালো জিপিএ কে না চায়। চাওয়া এক হলেও চেষ্টার ধরন একেকজনের একেক রকম। তবে সাধারণ কিছু পদ্ধতি আছে, যেগুলো কাজে লাগবে সবারই।
ঘুমানোর আগে নোট
ঘুমানোর আগে একবার দিনের নোটগুলোতে চোখ বোলানো যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের মস্তিষ্ক সারা দিনের ছোটখাটো স্মৃতিগুলোতে রাতে ঘুমের মধ্যে মগজের গভীরে সংরক্ষণ করে রাখে। আর তাই ঘুমানোর ঠিক আগে আগে গুরুত্বপূর্ণ পড়াটা পড়লে সেটা দীর্ঘদিন মনে থাকার সম্ভাবনা বেশি। তাই বলে আবার সব নোট একনাগাড়ে পড়তে যেয়ো না। দিনেরটা দিনে পড়ে নিলেই হলো।
একটু এগিয়ে থাকা
ক্লাসের চেয়ে এগিয়ে থাকার অভ্যাসটাও বেশ কাজের। এতে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির সময়ও পাওয়া যায় বেশি। আবার এতে করে আত্মবিশ্বাসও তৈরি হয় যথেষ্ট, যা মানসিকভাবে তোমায় চাঙ্গা রাখবে সারাক্ষণই। তারচেয়েও বড় কথা, এতে মানসিক যে চাপটা কেটে যায়, তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অনেক ক্ষেত্রেই। ক্লাসের পড়ায় এগিয়ে থাকলে দেখবে তোমার শিল্পপ্রতিভারও বিকাশ ঘটছে তরতর করে।
সময়কে দাম দাও
কথাটা শুনতে শুনতে এত দিনে কান ভারী হয়ে গেছে নিশ্চয়ই। যদি সময়ের মূল্য তোমার কাছে এতটাই একঘেয়ে একটি শব্দ মনে হয়, তবে সময় নিয়ে ভাবতে হবে নতুন করে। হলিউডের ইন-টাইম সিনেমাটা দেখেছ? ওতে দেখানো হয়েছে মানুষের জীবনে সময়ের দামই সব। এক কাপ কফি পর্যন্ত সেখানে জীবন থেকে সময় বিক্রি করে কিনতে হয়। বাস্তবেও তাই। এক ঘণ্টা নষ্ট মানে কিন্তু জীবন থেকে সেটা চলেই গেল। এই এক ঘণ্টা তুমি যা যা করতে পারতে, সে কাজটা আর করতে পারবে না কোনো দিন। তাই পড়তে বসার আগে ভেবে নাও ভালো করে, যে সময়টা পড়ার জন্য দিতে যাচ্ছ, ওটার একটা মূল্য আছে। এমনটা ভাবার অভ্যাস গড়ে উঠলে পড়ায় মনোযোগ বাড়বে দ্বিগুণ। অযথা আড্ডা কিংবা ঘোরাফেরা করে সময়টাও আর নষ্ট করতে মন চাইবে না।
শব্দ করে পড়ো
এটা নিয়েও হয়েছে গবেষণা। দেখা গেছে জোরে জোরে শব্দ করে গুরুত্বপূর্ণ কোনো লাইন পড়লে সেটা বেশি দিন মনে থাকবে। এ কারণে দেখবে মঞ্চনাটকের অভিনেতারা শব্দ করেই রিহার্সেল করে। মস্তিষ্কটা অনেকটা কম্পিউটারের মতো, শব্দ করে পড়লে এতে একসঙ্গে দুটি ইনপুট ডিভাইস কার্যকর থাকে—কান ও চোখ। আর মগজের হার্ডডিস্কে দুবার সেভ হলে তো তথ্য বেশি দিন থাকবেই।