গন্তব্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
বাংলাদেশের একমাত্র রাজনীতি মুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সুপরিচিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি গেজেটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সরকারি সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্ব্বর।
অন্যান্য নানা সুবিধার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য খান জাহান আলী, খান বাহাদুর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং ছাত্রীদের জন্য অপরাজিতা নামে মোট ৪টি হল রয়েছে। পর্যাপ্ত আসন না থাকায় নানা দিক বিবেচনা করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে হলে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে আসন সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ছাত্রদের জন্য ১টি ও ছাত্রীদের জন্য ১টি করে মোট ২টি হলের কাজ চলমান রয়েছে।
এবারে ২৮টি ডিসিপ্লিনে (বিভাগ) কোটাসহ মোট ১২১১টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর মধ্যে প্রতি বিভাগে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ১টি ও আদিবাসীদের জন্য ১টি করে ২টি আসন সংরক্ষিত আছে এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে (বিকেএসপি) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত অতিরিক্ত ৭টি আসন রয়েছে। এ বছর থেকে নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে ইতিহাস ও সভ্যতা এবং আইন ও বিচার নামে নতুন দুইটি ডিসিপ্লিন।
স্কুল (অনুষদ): বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি স্কুল তথা অনুষদ এবং ১টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। স্কুল ও ইনস্টিটিউট গুলো হলো— বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল (ই); জীববিজ্ঞান স্কুল (এল); ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল (বি); কলা ও মানবিক স্কুল (এ); সমাজ বিজ্ঞান স্কুল (এস); আইন স্কুল (এলজে) এবং চারুকলা ইনস্টিটিউট (এফ)।
স্কুলের অধীনে আসন সংখ্যাসহ ডিসিপ্লিন (ডিপার্টমেন্ট): খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি স্কুলের অধীনে ২৫টি ডিসিপ্লিন তথা ডিপার্টমেন্ট ও ১টি ইনস্টিটিউটে ৩টি ডিপার্টমেন্টের পাশাপাশি শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল: ১. আর্কিটেকচার (৫০); ২. কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (৪০); ৩. ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (৪০); ৪. নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা (৪০); ৫. গণিত (৫০); ৬. পদার্থ বিজ্ঞান (৪৫); ৭. রসায়ন বিজ্ঞান (৪৫); ৮. পরিসংখ্যন (৪০)।
জীববিজ্ঞান স্কুল: ১. এগ্রো টেকনোলজি (৪৫); ২. বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (৪০); ৩. এনভায়রনেমন্টাল সায়েন্স (৬০); ৪. ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি (৪৫); ৫. ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি (৪৫); ৬. ফার্মেসি (৪৫) ৭. সয়েল সায়েন্স (৪৫)।
ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল: ১. ব্যবসায় প্রশাসন (৫৫) ২. হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (৪০)।
কলা ও মানবিক স্কুল: ১. ইংরেজি (৫৭); ২. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য (৫৭); ইতিহাস ও সভ্যতা (৪০)।
সমাজ বিজ্ঞান স্কুল: ১. অর্থনীতি (৪৫) ২. সমাজবিজ্ঞান (৫০); ডেভেলপমেন্ট্ স্টাডিজ (৪৫); গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা (৪০)।
আইন স্কুল: আইন ও বিচার (৪০)। এছাড়াও চারুকলা ইনস্টিটিউটে রয়েছে যথাক্রমে ১. ড্রইং এন্ড পেইন্টিং (২০); ২. প্রিন্ট মেকিং (২০); ৩. ভাস্কর্য (২০)।
ভর্তি পরীক্ষার নিয়মাবলী ও সময় সূচি
প্রত্যেক স্কুল ও ইনস্টিটিউটে পৃথকভাবে মোট আবেদনকারীর সর্বোচ্চ ৭ হাজার জনকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রণের সুযোগ দেয়া হবে। তবে সাত হাজারতম প্রার্থীর সমযোগ্যতা সম্পন্ন সকলেই (যদি থাকে) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। সকল শর্ত পূরন করা সাপেক্ষেই একজন আবেদনকারী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩, ৪ ও ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.ku.ac.bd) পাওয়া যাবে।