২৯ কৃতী শিক্ষার্থী পেলেন স্বর্ণপদক
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘জাতি, ধর্ম, গোত্র, শ্রেণি, সম্প্রদায়ের নামে যে বিচ্ছিন্নতা ও পারস্পরিক ঘৃণার সৃষ্টি করা হচ্ছে তা থেকে মুক্তির উপায় নজরুলের কবিতা ও সাহিত্য। কবির সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছিল মানবসৃষ্ট এই কৃত্রিম দেয়ালগুলো ভেঙে ফেলা। তাই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। ’
গতকাল বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে আচার্য ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ সমাবর্তন যেমন শিক্ষার্থীদের সাফল্য অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তেমনি তাদের ওপর পরিবার, দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা তাদের মেধা, দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে ভবিষ্যৎ দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবে। ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে এক হাজার ৩৯৯ জন গ্র্যাজুয়েট অংশগ্রহণ করেন এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সর্বোচ্চ নম্বরধারী ২৯ জন শিক্ষার্থীকে ৩২টি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু আজ কল্পনা নয়। বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীর বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, জঙ্গিবাদ দমন, ক্ষুধা-দারিদ্র্য দূরীকরণসহ আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। ’
অনুষ্ঠানের শুরুতে ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় নৃত্যসহ সূচনা সংগীতের পর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ইমেরিটাস প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। এর পরই রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর কর্তৃক ডিগ্রি ও স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে নজরুল স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ শিক্ষালয়টি ১১ বছরে পা রাখল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হলো।