পরিবর্তনে তারুণ্য
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
দেশের উন্নয়নে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে এবং তরুণদের নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (বিবিএফ) যৌথ উদ্যোগে ‘পরিবর্তনে তারুণ্য’ শীর্ষক এক সেমিনার ৩০ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তন এ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবলিক সার্ভস কমিশন সচিবালয়ের সচিব আকতারী মমতাজ।
সেমিনারে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার স্যালি অ্যানি ভিনসেন্ট এবং সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান। সেমিনারটি মডারেট করেন বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাসুদ এ খান। এছাড়া সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার হামিদুল হক খান ও স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আকতারী মমতাজ বলেন, বাংলাদেশ চাইছে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হতে। এই পরিবর্তন তখনই সম্ভব যখন তরুণরা এই পরিবর্তনের অংশীদার হবে। আমরা জানি, অতীতের যত মহৎ অর্জন রয়েছে তার পেছনে তরুণদের অবদানই রয়েছে সবচেয়ে বেশি। এসময় তিনি তরুণদেরকে দেশ ও জাতির ইতিবাচক পরিবর্তনে শামিল হতে আহ্বান জানান।
আকতারী মমতাজ আরও বলেন, তরুণরাই পরিবর্তনের অগ্রদূত। তাদের হাতে আছে প্রযুক্তির আশির্বাদ। এই প্রযুক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে তরুণরা দেশকে উন্নতীর শীর্ষে নিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সেমনিারের প্রধান আলোচক বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার স্যালি অ্যানি ভিনসেন্ট বলেন, সারা পৃথিবীজুড়েই তরুণরা পরিবর্তন আনছে। জলবায়ু পরিবর্তন, নারী-পুরুষের বৈষম্য, শিক্ষার অধিকার, মানবাধিকার ইত্যাদি নানা ইতিবাচক পরিবর্তনে তরুণরা যেমন অবদান রাখছে ঠিক তেমনি কিছু নেতিবাচক পরিবর্তনও তরুণদের মাধ্যমেই ঘটছে। যেমন জঙ্গিবাদসহ নারা অপরাধমূলক কাজ। এখানেই সবাইকে সচেতন হতে হবে। পরিবর্তন অবশ্যই প্রয়োজন, তবে সেই পরিবর্তন যেন হয় ইতিবাচক।
এ সময় তিনি তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনটি পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রথমত: জীবনব্যাপী শিক্ষা অর্জন করতে হবে, দ্বিতীয়ত: শোনা এবং দেখার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং তৃতীয়ত: পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সর্বোপরি নিজের প্রতি কর্মতৎপর থাকতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তুমি চাও বা না চাও, পরিবর্তন কিন্তু হচ্ছে। সমাজে, রাষ্ট্রে, সর্বত্র পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে তুমি কতটা মানিয়ে নিতে পারছ অথবা এই পরিবর্তনে তোমার অবদান কতটুকু রয়েছে সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবর্তন চাইতে হলে সবার আগে নিজের মনকে পরিবর্তন করতে হবে উল্লেখ করে মো. সবুর খান আরও বলেন, তরুণদের মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত শক্তি। সেই শক্তি তারা সামাজিক কাজে ব্যায় করার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যায় করতে বেশি আগ্রহী। এটা ইতিবাচক পরিবর্তন নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত, তবে তা নিজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কতটা ব্যবহার করছি তা ভেবে দেখতে তরুণদের পরামর্শ দেন মো. সবুর খান।