ফিল্ড ভিজিট করলো ড্যাফোডিলের এন্টারপ্রেনারশিপ বিভাগ
- রবিউল কমল
মঙ্গলবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এন্টারপ্রেনারশিপ বিভাগ শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বিশেষ ফিল্ড ভিজিটের আয়োজন করে। রাজধানী ঢাকার ধোলাইখালে এই ফিল্ড ভিজিটের আয়োজন করা হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ মারুফ রেজাসহ অন্যান্য শিক্ষক এবং কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতেই তারা বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি ভিজিট করেন। পরবর্তীতে সেখানে সবাই একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এই গোলটেবিল বৈঠকে শিক্ষার্থীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো: সবুর খান, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প সমিতির সভাপতি মো: আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি সাব্বির আহমেদ, প্রগতি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মালিক মো: সাইফুল ইসলাম তুষার, ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের পরিচালক মো. আবু তাহের, এন্টারপ্রেনারশিপ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ মারুফ রেজা, লেকচারার নুরুল আহাদ, ভেঞ্চার ক্যাপিটালের রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
উক্ত বৈঠকে মো: সবুর খান এই ফিল্ড ভিজিটের উদ্দেশ্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কাজ করতে চাই। এই বিষয়কে ড্যাফোডিলের এন্টারপ্রেনারশিপ বিভাগের কোর্সের আওতায় যুক্ত করা হবে। যাতে আমাদের ছাত্ররা পুরো বিষয়টিকে হাতে-কলমে শিখতে পারে। তারা এখানে এসে প্রশিক্ষণ নেবে।
সবুর খান জানান লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এর ব্রান্ডিং করার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, আমরা এটি নিয়ে গবেষণা করবো, মার্কেটিং এবং প্রমোশনের ব্যবস্থা করবো। নতুন উদ্যোক্তারা যাতে এটি নিয়ে কাজ করে সেজন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথাও বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এই বিষয়ে আমাদের দেশে এক্সপার্ট তৈরি হয়নি। আমরা এক্সপার্ট সরবরাহ করতে চাই। আর সেজন্য যাবতীয় ব্যবস্থা ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, এখানে ল্যাব তৈরি করা হবে। যেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা এসে কাজ করবে। তাহলে কাজের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে এই খাতে দক্ষ জনবলও তৈরি হবে।
উক্ত বৈঠকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি অভিনব উদ্যোগ। আমি এটি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, আমরা ধোলাইখাল নিয়ে গর্ব করি কিন্তু এ গর্ব আমাদের প্রাপ্য নয়। কারণ আমাদের সবকিছু একটি ধাপেই আটকে থাকে। যে ধাপ আমরা অতিক্রম করতে পারি না। কিন্তু আমরা যদি এই ধাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারি, বটগাছের মতো শাখা-প্রশাখা বিস্তার করতে পারি, তাহলে এই শিল্পের উন্নয়ন হবে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের উন্নত প্রযুক্তির পাশাপাশি দক্ষ লোক প্রয়োজন। যা আমাদের দেশে খুজে পাওয়া খুবই কঠিন। প্রতিবছর বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেসব শিক্ষার্থী বের হচ্ছে তারা কেউ এই শিল্প নিয়ে কাজ করে না বা আগ্রহীও নয়। আর এ কারণেই অন্যান্য দেশের চেয়ে আমরা অনেক পিছেয়ে পড়ছি।
তিনি আরো বলেন, সারাদেশে আমাদের প্রায় ৪০ হাজার উদ্যোক্তা ছড়িয়ে আছে। যদি এই শিল্পের মধ্যে দক্ষ লোকের প্রবেশ করানো যায় তাহলে আমাদের দেশেও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এগিয়ে যাবে। যেমনটা এগিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান এবং ইন্দোনেশিয়া। আমাদের বাইরের দেশ থেকে এসব আমদানি করতে প্রতিবছর যে পরিমাণ খরচ হয়, তার তিনভাগের একভাগ খরচে এসব পণ্য আমাদের দেশেই উৎপন্ন করা সম্ভব। এজন্য সরকারের আন্তরিকতাও জরুরি।
এছাড়াও উক্ত গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন- ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের পরিচালক মো. আবু তাহের, এন্টারপ্রেনারশিপ বিভাগের প্রধান সৈয়দ মারুফ রেজা, বাইশিমাস এর সেক্রেটারি সাব্বির আহমেদ এবং প্রগতি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মালিক মো: সাইফুল ইসলাম।
গোলটেবিল বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীরা ধোলাইখাল এলাকার বিভিন্ন লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা পরিদর্শন করেন।
2 Comments on this Post
Sultan Mahmud Sujon
ভালো লিখেছেন
?? ?????????? ?????
ধন্যবাদ