ভালোবাসা দিবসে পেলাম বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের প্রথম দিন
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ভর্তি পরীক্ষা দিতে যেদিন ঢুকেছিলাম, সেদিনই অসম্ভব মায়া তৈরি হয়েছিল ক্যাম্পাসটার ওপর। এত সুন্দর! মনে মনে ঠিক করে ফেলেছিলাম, যেভাবেই হোক, এখানেই পড়তে হবে। সুযোগ পেলাম যন্ত্রকৌশল বিভাগে। দ্বিতীয়বার চিন্তার কোনো সুযোগ নেই। ভর্তি হয়ে গেলাম।
দিনটা ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি! ভালোবাসা দিবসে পেলাম বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের প্রথম দিন। অতি উৎসাহী ছিলাম বলেই ক্লাস শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে গিয়ে বসে ছিলাম। আমার কল্পনার সঙ্গে সব মিলিয়ে দেখছিলাম।
আকাশ-পাতাল ভাবতে ভাবতে আগের রাতে ঘুম হয়নি। কে হবে আমার নতুন বন্ধু? সহপাঠীরাই বা কেমন হবে? সবাই কি দেখতে অনেক পড়ুয়া হবে? চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা থাকবে? কোন বেঞ্চে বসব? বড় আপু-ভাইয়ারা কেমন হবেন? হাজারো প্রশ্ন মাথায় ঘোরাফেরা করছিল। লেকচার খাতা একটাতেই হবে, নাকি সবগুলো বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা খাতা লাগবে? স্যারেরা দেখতে কেমন হবেন! এসব চিন্তা করতে করতেই রাতের ঘুম মাটি!
সারা রাত জেগে থেকে ক্যাম্পাসে পরদিন ঢুকতেই সবকিছু কেমন যেন নিমেষেই আপন হয়ে গেল। আমার ক্যাম্পাস, আমার ক্লাসরুম, আমার ক্লাসমেট, আমারই শিক্ষক—এটা মনে হতেই সব আশঙ্কা, ভয়ডর উধাও। প্রথম দিন আমার পাঁচটা ক্লাস ছিল। ভেবেছিলাম পরিচয়পর্বেই দিনটা কাটবে। তা না। প্রথম দিন প্রথম ক্লাসেই স্যার অনেক কিছু পড়িয়ে ফেললেন। বুঝলাম, সামনের দিনগুলো খুব সহজে পার পাওয়া যাবে না! সবার বন্ধুত্ব, দিনরাত এক করে ল্যাব রিপোর্ট তৈরি, সঙ্গে ক্যাম্পাস মাতিয়ে রাখা বড় ভাইয়া-আপু—সব মিলিয়ে নিঃসন্দেহে বুয়েটের শিক্ষার্থী হতে পারা আমার জীবনের সেরা পাওয়া।
সৌমিম তানজিনা