দুই তরুণের রাশিয়া সফর
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
দুই বাংলাদেশি তরুণ রাশিয়ার কাজানে অবস্থিত কাজান ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠেয় ‘নতুন প্রজন্ম’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশে রুশ দূতাবাসের আমন্ত্রণে ২০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রুশ সরকারের ‘নতুন প্রজন্ম’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ ল্যাংগুয়েজেস’র ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক শামস উদ-দোহা এবং রুশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিক্ষা বিভাগের প্রধান সৈয়দ বজলুল হাসান।
কর্মসূচির আওতায় তারা রাশিয়ার কাজানে অবস্থিত কাজান ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠেয় ‘আগামীর বিজ্ঞান’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ছাড়াও আজারবাইজান, আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, বতসওয়ানা, বুলগেরিয়া, ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন, হাঙ্গেরি, ভারত, কিরগিজস্তান, লাটভিয়া, নরওয়ে, স্পেন এবং সুইডেনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
শামস উদ-দোহা জানান, আমার খুব ছোটবেলা থেকেই অল্প সময়ের জন্য হলেও রাশিয়া যাবার ইচ্ছে ছিল প্রধানত দুইটি কারণে। প্রথমত আমি একজন দাবা খেলোয়ার ছিলাম এবং রাশিয়া দাবার দেশ। দ্বিতীয়ত আমার রুশ দূতাবাস এবং মেঘদূত আবৃত্তি সংগঠনের যৌথ আয়োজনে রুশ বিখ্যাত কবিদের কবিতার ইংরেজি অনুবাদের একটি সংগ্রহ সম্পাদনার সুযোগ হয়েছিল। এই কাজের মাধ্যমে রুশ সাহিত্য সম্পর্কে আমার আগ্রহ জন্ম নেয়।
তিনি বলেন, এটি যে শুধু একটি প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসূচি ছিল তা নয়। আমরা রাশিয়ার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতেও ভ্রমণের সুযোগ পাই। যেমন দশ বছর আগে আমি রাহুল সাংকৃত্তায়নের ‘ভোলগা থেকে গঙ্গা’ পড়েছিলাম। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমার সে ভোলগা নদী দেখা হয়।
শামস উদ-দোহা আরো বলেন, আমি সবাইকে একটি প্রশ্ন করে চমকে দিই। সেটি হল বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত? কেউ কেউ ২০ মিলিয়নে উঠতে পারে। যখন আমি নাটকীয় ভঙ্গিতে বলে উঠি, আমার দেশের জনসংখ্যা ১৬০ মিলিয়ন তখন সবাই আমার গর্বের জায়গাটা টের পায়। এতগুলো মানুষ, মানে কত শক্তি! মজার ব্যাপার হল রাশিয়া আমাদের চেয়ে প্রায় ১১০ গুণ বড় হলেও রাশিয়ার জনসংখ্যা আমাদের চেয়ে কম।
সৈয়দ বজলুল হাসান বলেন, আমরা রুশ সরকারের নতুন প্রজন্ম নামে যে কর্মসূচিতে গিয়েছি তার মাধ্যমে আমরা সারা পৃথিবী থেকে আসা তরুণদের সাথে পরিচয়ের সুযোগ পাই। এতে যা লাভ হয় তা হলো শুধু যে রাশিয়ার সাথেই আমাদের সম্পর্ক স্থাপিত হয় তা না, বরং বিভিন্ন দেশের তরুণদের কাজ সম্পর্কেও আমরা জানতে পারি।