দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে স্বপ্ন পূরণ হবে রায়হানুলের?
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে পড়াশোনা চালিয়ে একের পর এক সাফল্য। এর ধারাবাহিকতায় ভর্তিযুদ্ধে জয়। সুযোগ পেয়েছেন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে কি না, সেই আশঙ্কা উঁকি দিচ্ছে অদম্য মেধাবী রায়হানুল বারীর মধ্যে।
রায়হানুলের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্বসারডুবি গ্রামে। বাবা সাফিউল ইসলাম একজন দিনমজুর। অন্যের জমিতে সারা দিন খেটে যা পান, তা দিয়ে চলে সংসার আর চার ছেলেমেয়ের পড়াশোনা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রায়হানুল ২০১৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় হাতীবান্ধা এস এস উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পান। এরপর তিনি কিছুদিন বাবার সঙ্গে দিনমজুরের কাজও করেন। পরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ঢাকার মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পান তিনি। এ বছর রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সারা দেশে মেধাতালিকায় ৫১৪তম হন রায়হানুল বারী।
রায়হানুল বলেন, অনেক সময়ই তাঁকে না খেয়ে পড়াশোনা করতে হয়েছে। তিনি বলেন, সেই ছোটবেলা থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন তাঁর। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে হবে। কিন্তু ভর্তি হতে ও পড়াশোনা চালাতে যে টাকার প্রয়োজন, তা জোগাড়ের সাধ্য নেই তাঁদের। এই দুশ্চিন্তা এখন তাড়া করছে তাঁকে।
বাবা সাফিউল ইসলাম বলেন, ‘দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমি ছেলেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলাম। সেই টাকা আজও পরিশোধ করতে পারিনি। এখন দিনমজুরিরও তেমন কোনো কাজকর্ম নেই। ফলে ছেলের মেডিকেল কলেজে ভর্তির ফি ও লেখাপড়ার টাকা কোথায় পাব, তা ভেবে পাচ্ছি না।