অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চিত আইরিনের
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
অদম্য মেধাবী আইরিন আক্তার শত বাধা টপকে পড়াশোনায় সাফল্য লাভ করেছেন। এবার মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি। কিন্তু অর্থাভাবে তাঁর ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাঁর বাবা দিনমজুর। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন।
আইরিনের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কিসামত কামারপুকুর মিস্ত্রিপাড়া গ্রামে। তিনি বলেন, প্রায়ই টাকা থাকত না। তখন বাড়ি থেকে হেঁটে দুই কিলোমিটার দূরে কলেজে যেতেন। কোনো কোনো দিন ইজিবাইক বা রিকশাভ্যানে চড়তেন। আইরিন আরও বলেন, বাড়ির কাছে বাগডোকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছিলেন। তারপর সৈয়দপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি কলেজে পড়াশোনা করেন। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। সরকারি কারিগরি কলেজে পড়ার সময় অভাবের কথা চিন্তা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁর খরচ বহন করে।
আইরিন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। চলতি মাসের ২০ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে ভর্তি হতে হবে। ভর্তি হতে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা লাগবে বলে শুনেছেন। কিন্তু এত টাকা তাঁর হতদরিদ্র মা-বাবার পক্ষে দেওয়া অসম্ভব। আইরিনের মা বেলী বেগম বলেন, নিজের ভিটেমাটি কিছুই নেই। আইরিন খেয়ে না-খেয়ে স্কুল-কলেজ করেছেন। এখন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু তাঁদের হাতে কোনো টাকাপয়সা নেই। এ জন্য চিন্তারও অন্ত নেই। কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।
সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ আমির আলী আজাদ বলেন, সমাজের সহৃদয় ও বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে মেধাবী ছাত্রী আইরিন মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবেন। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন। একদিন চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করার সুযোগ পাবেন।