আগে লক্ষ্যটা ঠিক করো
- ক্যাম্পাস ডেস্ত
শৈশবের দুরন্তকাল কেটেছে রংপুরে। জন্মস্থান সেখানেই। বাবা-মা দু’জনেই গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করতেন। বদলির চাকরির সুবাদে ছোটবেলায় নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের অন্তত চারটি স্কুলে পড়তে হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত।
ছোটবেলা থেকেই বাবার দারুণ উৎসাহে সপ্তম শ্রেণিতে রংপুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়া। ক্যাডেট কলেজ থেকে অর্জিত শৃঙ্খলাবোধ, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার এবং নিজের কাজ নিজে করতে পারার শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অনেক কাজে লেগেছে। বলছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া মো. সাবি্বর আখন্দের কথা। মাধ্যমিক (২০০৭) ও উচ্চ মাধ্যমিক(২০০৯) দুই পরীক্ষাতেই তিনি রংপুর ক্যাডেট কলেজে থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছেন। তা ছাড়া প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে সরকারি বৃত্তি পেয়েছেন।
‘মা-বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে নাসার বিজ্ঞানী হই, আর আমি চেয়েছিলাম প্রকৌশল নিয়ে পড়তে। তবে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জিত না হলেও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের পছন্দের বিভাগ ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হই ২০০৯ সালে। নিজেকে প্রমাণ করার ইচ্ছা থেকে প্রথম বর্ষ থেকেই মনোযোগী ছিলাম’- জানালেন আখন্দ। থেকেছেন অমর একুশে হলে। পরীক্ষার আগে নিজে নিজে পাঠ্যঘর অথবা লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়েছেন। অতঃপর স্নাতকে (সম্মান) ৩.৯০ সিজিপিএ পেয়ে বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরে বিভাগের নাম পরিবর্তিত হয়ে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ হয় এবং সেই বিভাগে তিনি স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন। ভবিষ্যতে ইচ্ছা আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌরকোষের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর পিএইচডি করার।
পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ক্যাডেট কলেজে ভালো সাঁতারু ছিলেন। তার মতে, ‘মেধাবী বলে কিছু নেই, নিজের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সবটুকুই কঠোর পরিশ্রম। যতটুকু কাজ করবে, ততটুকুই সফলতা অর্জন করা যাবে। ‘