সজীবকে উষ্ণ সংবর্ধনা
- ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ প্রদত্ত ‘মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১৬’ অর্জন করায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আদ দ্বীন সজীবকে সংবর্ধনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ। গতকাল (২৩ অক্টোবর) ধানমন্ডির শুক্রাবাদে অবস্থিত ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটি ক্যাম্পাস মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের প্রধান সেলিম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে আদ দ্বীন সজীব তার ব্যাক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘গতানুগতিক পড়ালেখার পাশাপাশি একটু ব্যাতিক্রম কিছু করে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে হবে। ’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম বলেন, ‘জীবনে চলার পথ কেউ তৈরি করে দিবে না, নিজেকেই তৈরি করে নিতে হবে। আমি মনে করি সজীবের এই সাফল্য সবার জন্য অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে।’
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের প্রধান সেলিম আহমেদ বলেন, ‘জীবনে সাফল্যের জন্য নেটওয়ার্কিং অত্যান্ত জরুরী। আর সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অত্যাধিক। সুতরাং নেটওয়ার্কিং ও রিসোর্স ডেভেলপ করতে হবে। তবেই সাংবাদিকতা পেশায় সাফল্য আসবে। ’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ ভূইয়া, আইন বিভাগের প্রধান রিয়াদ উজ জামান, ইংরেজী বিভাগের প্রধান মহসিন রেজা, স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু। আদ দ্বীন সজীবের পিতা নুর মোহাম্মদ সরকার, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহ এম নিস্তার জাহান, সিনিয়র লেকচারার কামরুন নাহার এবং এই বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান।
উল্লেখ্য, আদ দ্বীন সজীব ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি রেডিও ক্যাটাগরিতে এ বছরের মীনা অ্যাওয়ার্ডে সংবাদ বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন। জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গত ১৫, ১৬ ও ১৭ মার্চ শিশুদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ‘প্রশ্নবিদ্ধ বিনোদন’ বিষয়ে রেডিও টুডেতে প্রচারিত ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য তিনি এ পুরষ্কার অর্জন করেন।