ওরা ভবিষ্যতের কাণ্ডারি
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘ইউনিলিভার বিজমায়েস্ত্রো’। ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের নিয়ে আয়োজিত ছাত্রছাত্রীদের অনেক আগ্রহের বিজনেস কম্পিটিশন বিজমায়েস্ত্রো। ১৭ নভেম্বর ঢাকার র্যাডিসন বল্গু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ইউনিলিভার আয়োজিত বিজমায়েস্ত্রো-এর ৭ম সিজন। এবারের উইনিং প্রাইজ বিগত সব বছরের চেয়ে তুলনামূলক বেশি ছিল।
মে ২০১৭ তে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে ‘ইউনিলিভার ফিউচার লিডারস লীগ’ নামে গ্গ্নোবাল বিজনেস কম্পিটিশন যেখানে এই বিজয়ী দল বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর পক্ষ থেকে মাতসুরা তাসনিম, রাকিব ইবনে এবং তানজির ইসলাম চার ধাপের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই বিজয়ী খেতাব অর্জন করে নেয়।
গত বছর আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা লন্ডনে অনুষ্ঠিত ইউনিলিভার ফিউচার লিডারস লীগ’ ২০১৬ তে বাংলাদেশ, সারা বিশ্বের ৩ লাখ প্রতিযোগীকে হারিয়ে বিজয়ের কাপ হাতে তুলে নেয়। এ বছর সারাদেশ থেকে ২৮৩টি টিম এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং তার মধ্য থেকে কেবলমাত্র ৪টি টিম ফাইনাল রাউন্ডের জন্য উত্তীর্ণ হয়। ফাইনাল রাউন্ডের টিমগুলো হচ্ছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এবং টিম পটার, চ্যালেঞ্জ এক্সেপ্টেড, টীম টি কিউব এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশানালস-এর টিম ফাটম্যান অ্যান্ড লিটেল বয়েজ সারাদেশের নামকরা ক্যাম্পাসগুলো থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ২৮০ টিরও বেশি টিমের ডে লং অ্যাসেসমেন্টের পর ২২ টি টিমকে বাছাই করা হয় কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিযোগিতার জন্য।
ব্র্যান্ড ম্যানেজারের রোলে নিজেদের দেখে এই টিমগুলো অবাক হয়ে গিয়েছিল। কঠিন কিছু টাস্ক তাদের করে তুলেছিল দিশেহারা। শুধুমাত্র ৬ ঘণ্টার ভেতরে তাদের ব্র্যান্ড ম্যানেজার রোলে বিজনেস অ্যানালিটিকস্ ব্যাখ্যা করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। তাদের দেওয়া প্রেজেন্টেশনের ভিত্তিতে টিমগুলোকে ইউনিলিভারের বিভিন্ন বিজনেস ম্যানেজাররা মূল্যায়ন করেন। প্রেজেন্টেশনের পর শুধু ১০টি টিম সেমিফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হয়। সেমি-ফাইনালিস্টদের ইউনিলিভারের হেড অফিসে ডাকা হয়, যেখানে একটা ব্রিফিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রতিযোগীদেরকে তাদের পরবর্তী টাস্ক সম্পর্কে ব্রিফ দেওয়া হয়। সেমিফাইনাল রাউন্ডটা ছিল ‘মার্কেট ভিজিট’। এই রাউন্ডটা সবার বেশ পছন্দের ছিল।
তবে শুধু ঘোরাঘুরিটাই মার্কেট ভিজিটের উদ্দেশ্য ছিল না। সেমিফাইনাল রাউন্ডে প্রতিযোগীদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল স্পেসিফিক মার্কেট খুঁজে বের করা, সেখানকার স্লোয়েস্ট মুভিং প্রোডাক্টটি খুঁজে বের করা এবং নতুন নতুন আইডিয়া বের করা যে কীভাবে ওই প্রোডাক্টের ভিজিবিলিটি আরও বাড়ানো যায়! প্রতিযোগীদের হাতে সময় ছিল মাত্র ২ দিন! আর এই দুই দিনে মার্কেট সার্ভে করে তৃতীয় দিনের দিন সে সম্পর্কে একটা প্রেজেন্টেশন প্রেজেন্ট করতে হয় দলগুলোকে। ইউনিলিভার হেড অফিসে ২০ মিনিটের সে প্রেজেন্টেশনের ভিত্তিতে ১০টা টিমের মধ্য থেকে ৪টি ফাইনালিস্ট টিম বাছাই করা হয়।
ফাইনালের দিন এই প্রতিযোগীরা তাদের এক্সেপশনাল ক্রিয়েটিভিটি আর এক্সট্রা অরডিনারি প্রেজেন্টেশন স্কিল দেখিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। ফলে বাছাই পর্ব বিচারকদের জন্য আরো কঠিন হয়ে যায়! ৪ টিমই যখন তাদের নির্ধারিত টাস্কের ওপর ইকুয়ালি ইম্প্রেসিভ প্রেজেন্টেশন দিল তখন সবার মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল, এমনকি বিচারকরাও বিজয়ী নির্ধারণ করতে পারছিলেন না। শেষে প্রায় ৩০ মিনিট নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার পর বিজয়ী দল ঘোষণা করা হয়। ঞবধস ঞ ঈঁনব সেকেন্ড রানারআপ, চ্যালেঞ্জ এক্সেপ্টেড ফার্স্ট রানারআপ এবং টিম পটার বিজয়ী দল নির্বাচিত হয়। এ ইভেন্টে বিচারক হিসেবে ছিলেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের ম্যানেজিং কমিটি। অর্থাৎ ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর কামরান বাকের, সাপ্লাই চেইন ডিরেক্টর আমিনুর রহমান, জাহিদ মালিটা ফিন্যান্স ডিরেক্টর এবং হিউম্যান রিসোর্স ডিরেক্টর কুনাল শর্মা।