ড্যাফোডিলে ‘ইয়ুথ ফিয়েস্তা’
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
সরকারি-বেসরকারি এগারোটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো ডি আই ইউ আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ‘ইয়ুথ ফিয়েস্তা’। গতকাল শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান বলেন, আমরা চাই একটি মূল্যবোধসম্পন্ন তরুণ প্রজন্ম গড়ে উঠুক। কেননা তরুণরাই এদেশের ভবিষ্যৎ। আর কে না জানে, সংস্কৃতিচর্চা ছাড়া মূল্যবোধ স্থায়ী হয় না। তাই ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজন করেছে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ‘ইয়ুথ ফিয়েস্তা’।
এই প্রতিযোগিতা প্রতিবছর নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, তরুণরা যেন আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধারণ করে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, মানুষ শুধু খেয়ে পড়েই বাঁচেনা। মানুষের জীবনমানের পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন সংস্কৃতিচর্চা। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় তরুণ প্রজন্মকে সংস্কৃতিচর্চায় উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটিকে ধন্যবাদ জানাই।
এসময় প্রধান তথ্য কমিশনার আরও বলেন, সংস্কৃতিচর্চা করা যায় দুইভাবে। এক. ঘরে বসে এবং দুই. ঘরের বাইরে। কখনো কখনো ঘরের বাইরে এসে সাংস্কৃতিক আন্দোলন করতে হয়। তবে সংস্কৃতির চর্চা করতে গিয়ে তরুণ প্রজন্ম যেন সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের খপ্পরে না পড়ে সে ব্যাাপারে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ফিউশন করতে গিয়ে আমরা যেন নিজস্ব সংস্কৃতিকে ভুলে না যাই। নিজের সংস্কৃতিকে অটুট রেখেই বিশ্বমানের সংস্কৃকিচর্চা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত লোকসংগীতশিল্পী কিরণ চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, সুশিক্ষার প্রথম শর্ত একটি উন্মুক্ত ক্যাম্পাস। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় সেই শর্ত পূরণ করেছে। আমি এই স্থায়ী ক্যাম্পাস দেখে অভিভূত। আমি বিশ্বাস করি, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংস্কৃকিচর্চায়ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
এরপর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল প্রতিযোগিতা।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কালচারাল ক্লাবের আয়োজনে ‘শুদ্ধ সংস্কৃতি, সুস্থ প্রকৃতি’ এই শ্লোগানকে ভিত্তি করে ইয়ুথ ফিয়েস্তা চলে দিনব্যাপী। অংশগ্রহণকারী ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে জুরি বোর্ডের বিচারের ভিত্তিতে সেরা নৈপুন্যের জন্য বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসকে (বিইউপি) ‘বেষ্ট পারফরমেন্স এওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়।
জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন সাফায়াত মনসুর রানা (অভিনেতা ও পরিচালক), নাফিজ আলামিন (ড্রামার- অর্বভিরাস) ও ওয়াসেক মুত্তাকিন (নৃত্য পরিচালক)।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কালচারাল ক্লাবের মডারেটর ও উৎসবের আহ্বায়ক অনুজ কুমার চক্রবর্তী, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (স্টুডেন্ট এফেয়ার্স) সৈয়দ মিজানুর রহমান, কালচারাল ক্লাবের উপদেষ্টা ও টুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান মাহাবুব পারভেজ ও কালচারাল ক্লাবের সভাপতি নাফিজা রহমান।